www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

February 12, 2025 2:40 am
kali

মাঘ মাসের চতুর্দশী অমাবস্যায় হয় রটন্তী কালী পুজো (Ratanti Kali Puja)। এই তিথিতে নিষ্টা করে কালী মায়ের আরাধনা করলে,ভক্তের ডাকে সাড়া দেন তিনি। সারা বছরের প্রতিটি অমাবস্যায় বিভিন্ন কালীপুজো হলেও, একমাত্র এই রটন্তী কালী পুজো হয় চতুর্দশী তিথিতে। সমস্ত মন্দির ও অনেক বাড়িতেও তাই এদিন আয়োজন করা হয় বিশেষ পুজোর।

হিন্দুধর্মে মা কালীর আরাধনা সর্বজনবিদিত। বিভিন্ন তিথিতে দেবীর বিভিন্ন রূপের পুজো করা হয়। মাঘ মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশীতে রটন্তী কালীপুজো হয়।

বিভিন্ন তিথিতে বিভিন্ন রূপে পুজিত হন দেবী কালী। হিন্দু ধর্মে মা কালীর আরাধনা সর্বজনবিদিত। মাঘ মাসের চতুর্দশী অমাবস্যায় হয় রটন্তী কালী পুজো। এই তিথিতে নিষ্টা করে কালী মায়ের আরাধনা করলে,ভক্তের ডাকে সাড়া দেন তিনি। সারা বছরের প্রতিটি অমাবস্যায় বিভিন্ন কালীপুজো হলেও, একমাত্র এই রটন্তী কালী পুজো হয় চতুর্দশী তিথিতে।

সমস্ত মন্দির ও অনেক বাড়িতেও তাই এদিন আয়োজন করা হয় বিশেষ পুজোর। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে সারা বছরে তিনটে কালী পুজো খুব বড় করে পালন করা হয়। যার মধ্যে একটি -মাঘ মাসে রটন্তী কালী পুজো। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে সারা বছরে তিনটে কালী পুজো (Maa Kali) খুব বড় করে পালন করা হয়। যার মধ্যে একটি -মাঘ মাসে রটন্তী কালী পুজো (Kali Puja)। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে রটন্তী কালী পুজো খুব ধুমধাম করে পালন করা হয়। মন্দিরে যেমন পুজো হয়, তেমন দক্ষিণেশ্বর গঙ্গার ঘাটে বহু পুণ্যার্থী এদিন স্নান করতে আসেন। 

রটন্তী কালী পুজো ২০২৫ কবে?  

২৮ জানুয়ারি,মঙ্গলবার পড়েছে এবছরের রটন্তী কালী পুজো। 

চতুর্দশী তিথি

২৭ জানুয়ারি, রাত্রি ঘ ৭/৪৪ থেকে ২৮  ফেব্রুয়ারি রাত্রি ঘ ৭/৩১ পর্যন্ত অবধি চতুর্দশী তিথি থাকবে।  

কথিত আছে, শ্রীরামকৃষ্ণদেব একবার বলেছিলেন, “রটন্তী কালী পুজোর ভোরে দেখলাম দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গায় স্বর্গ দেবতারা নেমে এসেছেন স্নান করতে।” সেই কারণে আজও বহু মানুষ দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গার তীরে রটন্তীর ভোরে পুণ্যস্নান করতে আসেন। তবে শুধু  দক্ষিণেশ্বর নয়, কালীঘাট সহ আরও বিভিন্ন মন্দিরের প্রতিমা এদিন সেজে ওঠেন বিশেষ সাজে।

রটন্তী কালী পুজোর মাহাত্ম্য 

‘রটন্তী’ শব্দটি এসেছে ‘রটনা’ শব্দ থেকে। যার অর্থ প্রচার হওয়া। মনে করা হয়, এই বিশেষ দিনেই দেবীর মহিমা চতুর্দিকে রটে যায়। মুক্তকেশী মায়ের মহিমা এই তিথিতেই সর্বস্তরে রটিত হয়ে থাকে। নেমে এসেছেন স্নান করতে।” সেই কারণে আজও বহু মানুষ দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গার তীরে রটন্তীর ভোরে পুণ্যস্নান করতে আসেন। তবে শুধু  দক্ষিণেশ্বর নয়, কালীঘাট সহ আরও বিভিন্ন মন্দিরের প্রতিমা… কূটিলা শ্রীরাধার নামে কলঙ্ক রটিয়ে ছিলেন এবং তা প্রমাণ করার জন্য একদিন গোপনে তারা আয়ান ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীরাধার পিছু নেন। আয়ান ঘোষের আরাধ্যা দেবী ছিলেন কালী। 

অন্তর্যামী শ্রীকৃষ্ণ জটিলা-কূটিলার গোপন অভিপ্রায় জানতে পেরে স্বয়ং কালীরূপ ধারণ করেছিলেন। শ্রীরাধাও কালীরূপী শ্রীকৃষ্ণকে কদম্ব বৃক্ষের মূলে ফল, ফুল দিয়ে পুজো করেছিলেন। এদৃশ্য দেখে জটিলা, কূটিলা ও আয়ান ঘোষের ভূল ভাঙে এবং শ্রীরাধা যে স্বয়ং আদ্যাশক্তি তা বুঝতে পেরেছিলেন। এই ঘটনাটি স্মরণ করেই ভক্তজন রটন্তী কালীপুজো করে থাকেন। আবার লোক কথা অনুসারে শোনা যায়,এদিনই দেবী ছিন্নমস্তার আবির্ভাব হয়েছিল। দেবী পার্বতী তার সহচরীদের ক্ষিদে মেটানোর জন্যে নিজ মুণ্ডুচ্ছেদ করে ত্রিধারায় রক্তবারি প্রকট করেছিলেন। 

শাস্ত্রমতে আবার শোনা যায়, যখন শ্রীকৃষ্ণের প্রেমলীলায় রাধা মত্ত ছিলেন, সেই সময়ে একদিন দুপুরে গোপীনিরা তাঁর বাঁশির আওয়াজ শুনে চমকে উঠেছিলেন। গোপিনীরা বনের দিকে ছুটে গিয়ে দেখলেন সামনে ইষ্টমূর্তি। শ্রীরাধাই যে স্বয়ং আদ্যাশক্তি তা সেদিন বুঝতে পেরেছিলেন তাঁরা। সেই দিনকে স্মরণ করেই বিশেষ তিথিতে হয় রটন্তী কালীপুজো।

রটন্তী’ শব্দটি এসেছে ‘রটনা’ শব্দ থেকে। যার অর্থ প্রচার হওয়া। মনে করা হয়, এই বিশেষ দিনেই দেবীর মহিমা চতুর্দিকে রটে যায়। মুক্তকেশী মায়ের মহিমা এই তিথিতেই সর্বস্তরে রটিত হয়ে থাকে। আবার লোক কথা অনুসারে শোনা যায়, এদিনই দেবী ছিন্নমস্তার আবির্ভাব হয়েছিল। দেবী পার্বতী তাঁর সহচরীদের খিদে মেটানোর জন্যে নিজ মুণ্ডুচ্ছেদ করে ত্রিধারায় রক্তবারি প্রকট করেছিলেন।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *