কালী (Kali) নাম শুনতেই চোখে ভেসে ওঠে এক দিগম্বরী রূপ। যিনি কাজলের ন্যায় কৃষ্ণবর্ণা, মুক্তকেশী, বিবস্ত্রা, চতুর্ভুজে তাঁর বীরত্বের ব্যঞ্জনা। মন্ত্রচ্চারণে যাকে আমরা বলে থাকি, “করালবদনাং ঘোরাং মুক্তকেশীং চতুর্ভুজাম্। কালিকাং দক্ষিণাং দিব্যাং মুণ্ডমালাবিভূষিতাম্”। ভারতবর্ষের (India) অন্যতম প্রধান শক্তিদেবতা তিনি, দশ মহাবিদ্যার অন্যতমাও। তবে এই কালীর নামেই যেন বিভীষিকা, রূপে তো বটেই। তবে এটি কিন্তু আমাদের ভ্রম নয়। পুরাণের (Mythology) নানাবিধ কাহিনিতে তাঁর এমনই রূপের উল্লেখ রয়েছে। কালিকাপুরাণ, মার্কেণ্ডেয় পুরাণ, শ্রী শ্রী চণ্ডী (Maa Chandi) থেকে মহাভারতে (Mahabharat) কালীর রূদ্র ও সংহাররূপের বর্ণনা পাওয়া যায়।
এখন প্রশ্ন ওঠে কালীর নামকরণ নিয়ে। রূপের উল্লেখ পাওয়া যায় সেই ঋগ্বেদ (Veda) থেকে৷ সেখানে তিনি পরম তেজ স্বরূপা,দেবতেজসম্ভূতা চণ্ডীর সঙ্গে কালীর তেজ এবং শক্তি অভিন্না৷ আবার মার্কেণ্ডেয় পুরাণে তিনিই করালী। মানুষের রোগ, ভয়, তাপ এবং পাপের দাহিকা হিসেবে তিনি বিরাজমান। কিন্তু তিনি কালী কেন? ব্যাকরণগত ব্যাখ্যা, ‘কালী’ শব্দটি ‘কাল’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ। অন্যদিকে, মহানির্বাণতন্ত্রে বলা হয়েছে, এই কাল শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ‘মহাকাল’ অর্থে৷ অর্থাৎ সর্বপ্রাণীকে কলন (গ্রাস) করেন যিনি। তাই কালকে গ্রাস করেন বলেই তিনি কালী।
তবে শুধু নাম নয়। কালীর সংহাররূপ নিয়েও নানা ব্যাখা রয়েছে৷ শাস্ত্রবিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সেই রূপ থেকেও দেবীর নানা নামকরণ হয়েছে। যেমন মহাভারত। ব্যাসদেবের রচনায় কালীর রূপ ভয়ঙ্কর। সেখানে তিনি সংহাররূপী৷ সৌপ্তিক পর্বে যেখানে সেনাপতি হিসেবে অশ্বত্থামা যখন দ্রৌপদীর পঞ্চপুত্রকে বধ করেছেন, ধৃষ্টদ্যুম্ন, শিখণ্ডীকে বধ করেছেন, তখন সেই ভয়ঙ্কর যুদ্ধদুর্মদ অশ্বত্থামার পাশে যে কালীকে দেখা গিয়েছিল, তাঁর মুখখানি লাল, চোখ দুটিও লাল, গলায় লাল ফুলের মালা, পরনে লাল কাপড় এবং হাতে পাশ অস্ত্র। এই কালীকে ধ্বংসের প্রতীক কালরাত্রি বলা হয় মহাভারতে।
মা কালীর প্রার্থনা করলে সুফল পাওয়া যাবে। এ ছাড়া গৃহে মা কালীর চিত্র বা মূর্তির সামনে বিভিন্ন পুজোর দ্রব্যাদি-সহ সহজ প্রার্থনার কিছু মন্ত্র-
প্রদীপ বা মোমবাতি প্রদানের মন্ত্র-
‘এষ দীপ ওম ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃ।’
ধূপকাঠি প্রদানের মন্ত্র–
‘এষ ধুপঃ ওঁ ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃ।’
কর্পূর প্রদানের মন্ত্র-
‘ওঁ ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃ আরাত্রিকম্ সমর্পয়ামি।’
দুধ-স্নানাদি প্রদানের মন্ত্র-
‘ওঁ ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃ পয়স্নানাম্ সমর্পয়ামি।’
দই-স্নানাদি প্রদানের মন্ত্র-
‘ওঁ ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃদধিস্নানাম্ সমর্পয়ামি।’
পঞ্চামৃত-সহ স্নানের দ্রব্যাদি প্রদানের মন্ত্র-
‘ওঁ ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃ পঞ্চামমৃত স্নানম্ সমর্পয়ামি।’
গঙ্গাজল স্নানের প্রদানের মন্ত্র-
‘ওঁ ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃ গঙ্গাস্নানম্ সমর্পয়ামি।’
পঞ্চফল প্রদানের মন্ত্র-
‘ওঁ ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃ পঞ্চফলম্ সমর্পয়ামি।’
পুষ্প প্রদানের মন্ত্র-
‘এষ গন্ধপুস্পে ওঁ ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃ।’
প্রণাম মন্ত্র- (Kali pronam Mantra)
‘ওঁ ক্রীং ক্রীং হৃং হৃং হিং হিং দক্ষিণে কালীকে ক্রীং ক্রীং ক্রীং হৃং হৃং হ্রীং হ্রীং হ্রীং স্বহা।
ওঁ কালী কালী মহাকালী কালীকে পাপহারিণী
ধর্মার্থমোক্ষদে দেবী নারায়ণী নমোস্তুতে।’
এরপর জপ একশো আটবার করা যায় এই মন্ত্রে-
‘ওঁ ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃ।’
মা দক্ষিণাকালীর ধ্যান মন্ত্র (Kali Dhyan Mantra)
ওঁ করালবদনাং ঘোরাং মুক্তকেশীং চতুর্ভুজাম্ ।
কালিকাং দক্ষিণাং দিব্যাং মুন্ডমালাবিভূষি তাম্।।
সদ্যশ্চিন্নশিরঃ খড়গবামাধোর্দ্ধকরাম্বুজাম্ ।
অভয়ং বরদঞ্চৈব দক্ষিণোদ্ধার্ধপাণিকাম্।।
মহামেঘপ্রভাং শ্যামাং তথা চৈব দিগম্বরীম্ ।
কন্ঠাবসক্তমুন্ডালী-গলদ্রুধিরচর্চিতাম্ ।
কর্নাবতংসতানীতশবযুগ্মভয়ানকাম্ ।।
ঘোরদ্রংষ্টাং করালস্যাং পীণোন্নতপয়োধরাং।
শবনাং করসংঘাতৈঃ কৃতকাঞ্চীং হসন্মখীম্ ।।
সৃক্কদ্বয়গলদ্রক্ত-ধারাবিস্ফুরিতাননাম্ ।।
ঘোররাবাং মহারৌদ্রীং শ্মশ্মানালয়বাসিনীম্ ।
বালার্কমণ্ডলাকারলোচনত্রিয়ান্মিতাম্ ।।
দস্তুরাং দক্ষিণব্যপিমুক্ তালম্বিকচোচ্চয়া ম্ ।
শবরূপমহাদেবহৃদয়োপরি সংস্থিতাম্ ।।
শিবাভির্ঘোররাবাভিশ্চতুর্দিক্ষু সমন্বিতাম্ ।
মহাকালেন চ সমং বিপরীতরতাতুরাম ।।
সুখপ্রসন্নবদনাং স্মেরানন সরোরুহাম্ ।
এবং সঞ্চিন্তেয়ৎ কালীং সর্বকাম-সমৃদ্ধিদাম্ ।।
অনুবাদ –
দক্ষিণাকালী করালবদনা ঘোরা, মুক্তকেশী ও চতুর্ভুজা, দেবী দিব্যজ্যোতি সম্পূর্ণা তথা মুণ্ডমালাধারিণী। মায়ের বামদিকের নিচের হাতে সদ্যচ্ছিন্ন মুণ্ড, উপরের বাম হাতে খড়গ । ডানদিকের উপরের হাতে অভয় এবং নিচের হাতে বরমুদ্রা ধারণ করে আছেন। মায়ের গায়ের রং কাল মেঘের প্রভার মত শ্যামা । তিনি দিগম্বরী মানে বস্ত্রহীণা । উনার গলার মুণ্ডমালা গুলো থেকে বের হওয়া রক্ত উনার দেহ কে রঞ্জিত করছে, দুটি শবশিশু তার কর্ণভূষণ হওয়াতে দেবীকে ভয়ঙ্করী দেখাচ্ছে । তিনি তার করাল দন্ত দিয়ে নিজের জিহ্বা তে কামড় দিয়ে আছেন, হাতের মালা তিনি কোমড়ে বেঁধে রেখেছেন কোমরবন্ধ হিসাবে। তিনি মৃদুহাসি দিয়ে থাকেন এবং উনার মুখ থেকে রক্তের ধারা বের হচ্ছে আর উনার মুখে অনন্ত কোটি সূর্যের তেজ বিদ্যমান । তিনি অতিশয় ক্রুদ্ধা, ভয়ংকর নাদকারিণী, উনার তিনটি চোখ আর সেই সকালের সূর্যের মত লালপ্রভাময় । দেবী শবরুপ মহাদেবের হৃদয়ের মধ্যে দাড়িয়ে আছেন তথা মহাকালের সাথে বিপরিতরাতুরা। উনার চারদিকে চিৎকারকারি শিয়ালের দল অবস্থিত। তিনি সুখ প্রসন্ন বদনা। তিনি মোক্ষদায়িনী এবং সকল ইচ্ছাপূরণকারিণী ।
মায়ের গায়ত্রী মন্ত্র :- (Kali Gayatri Mantra)
“ওঁ কালিকায়ৈ বিদ্মহে শশ্মানবাসিন্যৈ ধিমহি তন্নো ঘোরে প্রচোদয়াৎ”।।
(১০ বার জপ করুন)
কালীকবচম:– (Kali Kabach)
ভৈরব উবাচ:-
“কালিকা যা মহাবিদ্যা কথিতা ভুবি দুর্ল্লভা।
তথাপি হৃদয়ে শল্যমস্তি দেবি কৃপাং কুরু।।
কবচন্ত মহাদেবী কথয়সানুকম্পা।
যদি নো কথ্যতে মাতব্বিমুঞ্চামি তদা তনুম।।”
দেব্যুবাচ:-
“শংকাপি জায়তে বৎস তব স্নেহাৎ প্রকাশিতম।
ন বক্তব্যং ন দ্রষ্টব্যমতি গুহ্যতমং মহৎ।।
কালিকা জগতাং মাতা শোকদুঃখাদি বিনাশিনী।
বিশেষত কলি যুগে, মহাপাতকহারিণী।।
কালী মে পুরুত: পাঠু পৃষ্ঠতশ্চ কপালিনী।
কুল্বা মে দক্ষিনে পাতু করণৌ চগ্রোপ্রভামতা।।
বদনং পাতু মে দীপ্তা নীলা চ চিবুকং সদা।
ঘনা গ্রীবাং সদা পাতু বলাকা বাহুযুগ্মকম।।
মাত্রা পাতু করদ্বন্দং বক্ষো মুদ্রা সদাবতু।
মিতা পাতু স্তনদ্বন্দং যোনিং মন্ডল দেবতা।
ব্রাম্মী মে জঠরং পাতু, নাভিং নারায়ণীং তথা।
ঊরু মাহেশ্মরী নিত্যং চামুন্ডা পাতু লিঙ্গকম।
কৌমারী চ কটিং পাতু তথৈব জানুযুগ্মকম।
অপরাজিতা পাদৌ মে বারাহী পাতু চাঙ্গুলী: ।
সন্ধিস্থানং নারসিংহী পত্রস্থা দেবতাবতু
রক্ষাহীনঞ্চ যৎ স্থানং বর্জ্জিতং কবচেন তু।
তৎ সর্ব্বং রক্ষ মে দেবী কালিকে ঘোর দক্ষিণে।
ঊর্দ্ধং-মধ্যস্তথা দিক্ষু পাতু দেবী স্বয়ং বপুঃ।।
হিংস্রেভ্যঃ সর্ব্বদা পাতু সাধকঞ্চ জলাধিকাৎ।
দক্ষিণা কালিকে দেবী ব্যাপকত্তে সদাবতু।
ইদং কবচমজ্ঞাতা যো জপেদ্দেবদক্ষিনাম
ন পুজাফলমাপ্নোতি বিঘ্নস্তস্য পদে পদে।
কবচেনাবৃতো নিত্যং যত্র তত্রৈব গচ্ছতি
তত্র তত্রভয়ং তস্য ন ক্ষোভং বিদ্যতে ক্কচিৎ।”
——*দক্ষিনকালিকা কবচম সম্পূর্ণম্* —–
নিচের মন্ত্র জপ করুন।
“ক্রীং কালিকায়ৈ নমঃ।।”
এর পর নিচের মন্ত্রে হাতে একটু জল নিয়ে জপ বিসর্জন করুন এই মন্ত্রে :-
“ওঁ গুহ্যাতিগুহ্য গোপ্তৃীং ত্বং গৃহানস্মতং কৃতং জপো, সিদ্ধির্ভবতু মে দেবি তৎ প্রসাদৎ সুরেশ্বরী ৷৷”
শ্রীশ্রীদক্ষিণকালিকা স্তোত্রম্ :- (Kali Stotra)
“ওঁ কৃশোদরি মহাচণ্ডী মুক্তকেশিং বলীপ্রিয়ে।
কুলাচারপ্রসন্নাস্যে নমস্তে শঙ্করপ্রিয়ে।।
ঘোরদংষ্ট্রে কোটোরাক্ষি কিটিশব্দ প্রসাধিনী।
ঘুরঘোররাবাস্ফারে নমস্তে চিতাবাসিনী।।
বন্ধুকপুষ্পসঙ্কাশে ত্রিপুরে ভয়নাশিনী।
ভাগ্যোদয়সমুৎপন্নে নমস্তে বরবন্দিনী।।
জয় দেবি জগদ্ধাত্রী ত্রিপুরাদ্যে ত্রিদেবতে।
ভক্তেভ্যো বরদে দেবি মহষঘ্নি নমোহস্তুতে।।
ঘোরবিঘ্নবিনাশায় কুলাচারসমৃদ্ধয়ে।
নমমি বরদে দেবি মুণ্ডমালা বিভূষনে।।
রক্তধারাসমাকীর্ণে করকাঞ্চীবিভূষিতে।
সর্ব্ববিঘ্নহরে কালী নমস্তে ভৈরবপ্রিয়ে।।
নমস্তে দক্ষিণামূর্ত্তে কালী ত্রিপুরভৈরবী।
ভিন্নাঞ্জনচয়প্রক্ষে প্রবীণশবসংস্থিতে।।
গলচ্ছ্রোণিতধারাভিঃ স্মেরাননসরোরুহে।
পীনোন্নতকুচদ্বন্দ্বো নমস্তে ঘোরদক্ষিণে।।
আরক্তমুখশান্তাভির্নেত্রালিভির্বিরাজিতে।
শবদ্বয় কৃতোত্তংসে নমস্তে মদবিহ্বলে।।
পঞ্চাশন্মুণ্ডঘটিতমালা লোহিত লোহিতে।।
নানামণিবিশোভাঢ্যে নমস্তে ব্রহ্মসেবিতে।।
শবাস্থিকৃতকেয়ুর, শঙ্খ-কঙ্কন-মণ্ডিতে।
শববক্ষঃ সমারুঢ়ে নমস্তে বিষ্ণুপূজিতে।।
শবমাংস কৃতগ্রাসে অট্টহাসে মুহুর্মুহু।
মুখশীঘ্রস্মিতামোদে নমস্তে শিববন্দিতে।।
খড়্গমুণ্ডধরে বামে সব্যে (অ) ভয়বরপ্রদে।
দন্তুরে চ মহারৌদ্রে নমস্তে চণ্ডনাদিতে।।
ত্বং গতিঃ পরমা দেবি ত্বং মাতা পরমেশ্বরী।
ত্রাহি মাং করুণাসাদ্রে নমস্তে চণ্ডনায়িকে।।
নমস্তে কালিকে দেবি নমস্তে ভক্তবৎসলে।
মুর্খতাং হর মে দেবি প্রতিভা জয়দায়িনী।।
গদ্যপদ্যময়ীং বাণীং তর্কব্যাকরণাদিকম্।
অনধীতগতাং বিদ্যাং দেহি দক্ষিণকালিকে।।
জয়ং দেহি সভামধ্যে ধনং দেহি ধনাগমে।
দেহি মে চিরজীবিত্বং কালিকে রক্ষ দক্ষিণে।।
রাজ্যং দেহি যশো দেহি পুত্রান্ দারান্ ধনং তথা।
দেহান্তে দেহি মে মুক্তিং জগন্মাতঃ প্রসীদ মে।।
ওঁ মঙ্গলা ভৈরবী দুর্গা কালিকা ত্রিদশেশ্বরী।
উমা হৈমবতীকন্যা কল্যাণী ভৈরবেশ্বরী।।
কালী ব্রাহ্মী চ মাহেশী কৌমারী বৈষ্ণবী তথা।
বারাহী বাসলী চণ্ডী ত্বাং জগুর্ম্মুনয়ঃ সদা।।
উগ্রতারেতি তারেতি শিবত্যেকজটেতি চ।
লোকোত্তরেতি কালেতি গীয়তে কৃতিভিঃ সদা।।
যথা কালী তথা তারা তথা ছিন্না চ কুল্লকা।
একমূর্ত্তিশ্চতুর্ভেদ দেবি ত্বং কালিকা পুরা।।
একত্রিবিধা দেবী কোটিধানন্তরূপিনী।
অঙ্গাঙ্গিকৈর্নামভেদৈঃ কালিকেতি প্রগীয়তে।
শম্ভুঃ পঞ্চমুখেনৈব গুণান্ বক্তুং ন তে ক্ষমঃ।
চাপল্যৈর্যৎ কৃতং স্তোত্রং ক্ষমস্ব বরদা ভব।।
প্রাণান্ রক্ষ যশো রক্ষ পুত্রান্ দারান্ ধনং তথা।
সর্ব্বকালে সর্ব্বদেশে পাহি মাং দক্ষিণকালিকে।।
যঃ সংপূজ্য পঠেৎ স্তোত্রং দিবা বা রাত্রিসন্ধ্যায়োঃ।
ধনং ধান্যং তথা পুত্রং লভতে নাত্র সংশয়।।
শ্রীমন্মহাকালবিরচিত শ্রীমদ্দক্ষিণকালিকাস্তোত্রং সম্পূর্ণম্।।”
এবার বন্দনা করুন: –
“ওঁ মহামায়ে জগন্মাত কালিকে ঘোর দক্ষিণে ৷
গৃহাণ্ বন্দনে দেবী নমস্তে শংকর প্রিয়ে ৷৷
ওঁ প্রচন্ডে পুত্রদে নিত্যং সুপ্রীতে সুর নায়িকে ৷
কুলদ্যোতকরে চোগ্রে জয়ং দেহী নমোহস্তুতে ৷৷ ”
এর পর অপরাধ ক্ষমা প্রার্থনা করে নিচের মন্ত্র পড়ে কাজ শেষ করে আপনার সমস্যা বা মনোবাসনা মায়ের চরণে নিবেদন করুন :-
“ওঁ যদক্ষরং পরিভ্রষ্টং মাত্রাহীনঞ্চ য়দ্ ভবেৎ ৷
পুরনং ভবতু যৎ সর্ব, তৎ প্রসাদৎ সুরেশ্বরী।৷”
(Disclaimer: এই খবরে ব্যবহৃত সব তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং বিভিন্ন শাস্ত্র-আধ্যাত্মিক পুস্তিকা নির্ভর তথ্যের উপর ভিত্তি করে। সাহায্য নেওয়া হয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রকাশিত লেখনির। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে machinnamasta.in কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ বাধ্যতামূলক। সঠিক ব্যবহার না হলে ক্ষতি হতে পারে এবং তার দায় নিউজ চ্যানেল কর্তৃপক্ষের নয়।)