চা বাগানে শ্রমজীবী মানুষের কাছে নিত্য পুজো পেতো সেই মূর্তি। আর তাই কিনা চুরি হয়ে যায়। মনের দুঃখে কাতর ছিলেন গ্রামের মানুষেরা। –বাগানের শ্রমিক মহল্লায় এই গণেশ মন্দিরের সঙ্গে আত্মিক টান জড়িয়ে আছে। তা নিয়ে ভক্তিও রয়েছে এখানকার মানুষের মধ্যে। তাই সকাল এবং সন্ধ্যেবেলায় মন্দিরে ভিড় করেন ভক্তরা। এটাই এখানের চিরাচরিতভাবে চলে আসছে। কিন্তু দেখা গেল, এক মাস আগে এই গণেশ মন্দিরের তালা ভেঙে ২৫ কেজি ওজনের পিতলের গণেশ মূর্তি চুরি করে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। এত বড় ভারী গণেশ মূর্তি নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা কেউ টেরই পেলেন না? উঠেছে প্রশ্ন। শুরু হয় পুলিশের তৎপরতা। অবশেষে লো সাফল্য।
এই নিয়ে শুরু হয় জোরকদমে তল্লাশি। স্থানীয় মানুষজনকে আশ্বাস দিয়েছিলেন পুলিশ অফিসাররা যে, যেভাবেই হোক ওই গণেশ মূর্তি খুঁজে এনে দেবেন। অবশেষে একমাসের মাথায় সেই গণেশ মূর্তি উদ্ধার করে আনল পুলিশ। আর তা মন্দিরে আবার রাখা হল। এই ঘটনায় পুলিশের উপর মানুষের আস্থা বাড়ল। এবার থেকে এই মন্দির চত্বরে পুলিশের টহল বাড়ানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই মূর্তি ফিরে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। ডুয়ার্সের তিস্তাপারের এলেনবাড়ি চা–বাগানের গৌরী লাইন শ্রমিক মহল্লার মন্দির কমিটির হাতে আবার ওই গণেশ মূর্তি তুলে দিয়েছে পুলিশ। এই পিতলের গণেশ মূর্তি গত ৩ ফেব্রুয়ারি ওই মন্দির থেকে তালা ভেঙে চুরি করা হয়। তারপর সুবিশাল গণেশ মূর্তি নিয়ে চম্পট দেয় চোরের দল। এই ঘটনার পরই মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে মাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই অভিযোগ হাতে পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। তারপরই দ্রুততার মধ্যে চুরি যাওয়া মূর্তি উদ্ধার করা হয়।