খবরে আমরাঃ বিহার রাজনীতির প্রাজ্ঞপুরুষ লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলে ভাঙন! ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিলেন লালুর বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদব। সোমবার এক টুইটে তিনি জানিয়েছেন, বাবা লালুপ্রসাদের সঙ্গে দেখা করার পরই তিনি দল থেকে ইস্তফা দেবেন।
সোমবার এক টুইটে তেজপ্রতাপ যাদব ঘোষণা করেছেন, তিনি আরজেডি থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। লালুর বড় ছেলের বক্তব্য,”আমি আমার বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই চলে এসেছি। দলের সব কর্মীকেই সম্মান দিয়েছি। শীঘ্রই বাবার সঙ্গে দেখা করার পর ইস্তফা দিয়ে দেব।” তেজপ্রতাপের বাবা লালু এখন পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে জেল খাটছেন। মনে করা হচ্ছে জেলে গিয়ে বাবার সঙ্গে দেখা করেই পদত্যাগ করতে পারেন তেজপ্রতাপ। তবে ঠিক কেন পদত্যাগ করতে চাইছেন, তা স্পষ্ট করেননি তেজপ্রতাপ।
মনে করা হচ্ছে দিনকয়েক আগে যেভাবে দলের ইফতার পার্টিতে এক মাঝারি মাপের নেতার সঙ্গে তিনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন, সেটাই এই সিদ্ধান্তের কারণ। আসলে রাবড়ি দেবীর ইফতার পার্টিতে আসা এক নেতা অভিযোগ করেছিলেন, যে তেজপ্রতাপ যাদব তাঁকে মারধর করেছেন। ভাই তেজস্বী যাদব এবং বাবা লালুপ্রসাদ যাদবকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। এই অভিযোগ আরজেডি প্রকাশ্যে না মানলেও, শোনা যাচ্ছে ওই আচরণের জন্য গোপনে তাঁকে ভালমতো সতর্ক করে দিয়েছেন ভাই তেজস্বী। তাতেই ফের গোঁসা হয়েছেন তেজপ্রতাপ। সেকারণেই ইস্তফার সিদ্ধান্ত।
তেজপ্রতাপ যাদব এবং তেজস্বী যাদবের দ্বন্দ্ব আরজেডিতে নতুন কিছু নয়। তাঁকে সরিয়ে যেভাবে ছোটভাই তেজস্বীকে লালুপ্রসাদ নিজের উত্তরসূরি হিসাবে বেছে নিয়েছেন তাতে শুরু থেকেই অখুশি তেজপ্রতাপ। এর আগে বেশ কয়েকবার দল ছাড়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। এমনকী ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে আগে আলাদা একটি মোর্চাও খুলেছিলেন। যার নাম দিয়েছিলেন লালু-রাবড়ি মোর্চা। আসলে, তেজপ্রতাপ শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন দলে তাঁর বা তাঁর সমর্থকদের উপযুক্ত সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। যদিও এর আগে যতবার তিনি দল ছাড়ার কথা বলেছেন, বা দলের কার্যকলাপ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন, ততবারই তাঁকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে ফিরিয়ে এনেছেন তেজস্বী যাদব।লালু কী ভৈইস গই তেল মে! দুই বেটা গউল……