প্রয়াগের মহাকুম্ভতে গেল বোঝা যায় এটাই প্রকৃত সনাতন ধর্মের ভারত। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন সাধু-সন্তরা। তাঁরা সকলে ঈশ্বর সাধনায় মগ্ন। কিন্তু তার মধ্যেও অনেকেই মানুষকে সমাজ সচেতনতার বার্তাও দেয়। এমনই এক অবাক করা সাধুকে দেখা গেলো মহাকুম্ভতে – যিনি ইতিমধ্যে ‘আনাজ বাবা’ নামে পরিচিত হয়েছেন। এক অদ্ভুত সাধনা (Spirituality) তাঁর। তাঁর সেই সাধনা কারও কারও কাছে মজার বলে মনে হয়েছিল, কেউ কেউ বিস্মিত হয়েছিলেন, আবার কেউ কেউ সন্দেহও প্রকাশ করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি যখন পাগড়ি খুলে ফেললেন, তখন তো সাধারণ মানুষ অবাক। এমনও হয়! (Prayag)এটাও সম্ভব! একথাই মনে মনে ভাবেন সবাই। তিনি মানুষকে বৃক্ষ রোপনের বার্তা দিলেন। (Hindu Mythology) বৈদিক ঋষিরা হাজার বছর আগেই সেই কথা বলেছিলেন। (Kumbh)
ওই সাধুকে সবাই ‘আনাজ বাবা’ বলেই সম্বোধন করেন। তাঁর মাথায় বাঁধা পাগড়ি, আর মাথার ওপরে লাগানো চারা গাছ। বিষয়টা কী, তা বোঝার জন্য কয়েকজন ইউটিউবার তাঁকে পাগড়ি খুলে ফেলতে বলেন। তাতেই বোঝা যায়, ফসলটি আসল নাকি নকল। সেই সময় তিনি রেগে যান। শেষ পর্যন্ত তিনি পাগড়ি খোলেন। আর তার পরেই সকলে অবাক। অনেকেই আশা করেননি যে ওই সাধুর মাথায় শস্যের শিকড় পর্যন্ত পাওয়া যাবে। তখনই সবার সব সন্দেহ দূর হয়ে যায়। আসলে গাছ বাঁচানোর বার্তা দিতে এভাবেই দিনের পর দিন প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। মাথায় প্রকৃতপক্ষেই চারা গাছ চাষ করেন তিনি।