www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

May 7, 2024 1:26 am

কালী হল "সময়" বা "কালের পূর্ণতা" এর স্ত্রীলিঙ্গ রূপ যার পুংলিঙ্গ বিশেষ্য "কাল", যা ভগবান শিবের নাম। এই শব্দের অর্থ 'কৃষ্ণ' (কালো) বা 'ঘোর বর্ণ'। সমজাতীয় কাল (নিযুক্ত সময়) কাল (কালো) থেকে আলাদা, কিন্তু এগুলি জনপ্রিয় ব্যুৎপত্তিবিদ্যার মাধ্যমে যুক্ত হয়েছে।

‘কে জানে গো কালী কেমন/ষড়দর্শনে পায় না দর্শন’—কবিরঞ্জন রামপ্রসাদ সেনের এই পদ আরাধ্যা দেবীর যে বর্ণনা রাখে, তা তন্ত্রের অতি জটিল তত্ত্ব থেকে উঠে আসা। কিন্তু ভক্তরা দেবীকে দেখেছেন মৃন্ময়ী হিসেবেই। তাঁর যে মূর্তি আজ প্রচলিত তা কত প্রাচীন, এই প্রশ্ন স্বাভাবিক ভাবেই উঠে আসে। নৃতাত্ত্বিকরা বলেন, তন্ত্রোপাসনার পিছনে রয়েছে বিশ্বের প্রাচীনতম উপাসনা পদ্ধতি। তা প্রকৃতি উপাসনার আদিম পর্ব থেকে উঠে আসা। কালী সেই আদি শক্তিরই মূর্ত রূপ। কিন্তু আজকের এই কালী বা শ্যামা মূর্তি কিন্তু খুব প্রাচীন নয়।

কথিত আছে, ষোড়শ শতকের তন্ত্র সাধক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশই প্রথম কালীর (Maa Kali) রূপ কল্পনা করেছিলেন। তার আগে দেবী পূজিতা হতেন ‘যন্ত্রে’। ‘যন্ত্র’ বিভিন্ন শক্তির প্রতীকী রূপ। তা অনেকাংশেই জ্যামিতিক। তবে এ কথাও জানা যায় যে, কৃষ্ণানন্দের আগে গুহ্য মূর্তি শবশিবা বা অন্য কল্পে দেবী পূজিতা হতেন। সেই সব রূপ গৃহী ভক্তদের উপযোগী নয় ভেবে কৃষ্ণানন্দ সেই রূপে বদল আনেন।

শক্তির দেবী হিসেবে শ্যামা বা কালীমূর্তির আরাধনা করেন শাক্ত বাঙালিরা।হিন্দু শাস্ত্রে বলা রয়েছে, তন্ত্র মতে যে সব দেব-দেবীদের পূজো করা হয়, তাঁদের মধ্যে কালী পুজো অন্যতম। বলা হয়, যাঁরা সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করতে চান, তাঁরা তন্ত্র-মন্ত্র ক্ষমতায় বিশ্বাসী। মানুষরূপী ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারী হতে চাইলে নিষ্ঠা সহকারে কালী পুজো করে থাকেন ।

শক্তির আরাধ্য দেবী কালীর উগ্র ও ভয়ংকর রূপ সৃষ্টির পেছনে আছে পৌরাণিক কারণ। ভারতে কালীপুজোর উত্‍পত্তি বিকাশ এবং প্রচলন প্রথা সম্পর্কে নানান তথ্য চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে। সেই সকল তথ্য কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা তা কিন্তু বলা খুব মুশকিল। অতীত ঘাঁটলে তার উত্‍পত্তি সম্পর্কে নানান তথ্য আমরা পেয়ে থাকি। কালী মায়ের রূপের বর্ণনা আমরা সাধারণত কালীর যে রূপের দর্শন পাই, তিনি চতুর্ভূজা অর্থাত্‍ তার চারটি হাতযুক্ত মূর্তি । খড়গ, অন্যটিতে অসুর মুণ্ড অন্য হাতগুলিতে তিনি বর এবং অভয় প্রদান করেন। গলায় নরমুণ্ডের মালা, প্রতিকৃতি ঘন কালো বর্ণের এবং রক্তবর্ণ জিভ মুখ থেকে বাইরের দিকে বেরিয়ে আছে । এছাড়াও তিনি এলোকেশি। মা কালীকে দেখা যায় শিবের বুকের উপর পা দিয়ে জিভ বার করে দাঁড়িয়ে আছেন।

দেবী কৃষ্ণবর্ণা। ‘ঋগ্বেদ’ জানায়, সৃষ্টির আগে ঘোর তমসা বা অন্ধকার সব কিছুকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। সেই সর্বব্যাপী তমসার প্রতীক বলেই তিনি কৃষ্ণবর্ণা। ‘মহানির্বাণতন্ত্র’ অনুসারে, শিব দেবীকে বলছেন— ‘সৃষ্টির পূর্বে বাক্য ও মনের অতীত তমোরূপে তুমি একাই ছিলে বিরজমানা।’ সেই একই গ্রন্থ অনুসারে অন্য যাবতীয় বর্ণ যেমন কৃষ্ণবর্ণে বিলীন হয়, তেমনই সৃষ্টির সব কিছুই কালীতে লীন হয়। মায়ের শ্যামা রূপ আবার মহাবিশ্বের নীলাভ বর্ণের প্রতীক। দেবী দিগম্বরী। কিন্তু তাঁকে ‘উলঙ্গিনী’ ভাবলে ভুল হবে। সব দিক ব্যেপে তাঁর অম্বর বা বসন বিরাজ করছে। এই বর্ণনা থেকে দেবীর বিশ্বজনীন অস্তিত্বকেও বোঝা যায়।

তিনি মুক্তকেশী। কালী (Kali) মায়াতীতা। কিন্তু সমস্ত জীবকে তিনি মায়াপাশে আবদ্ধ রাখেন। তাঁর মুক্ত কেশজাল সেই মায়াপাশেরই প্রতীক। তা ছাড়া তিনি ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরকেও মুক্ত করেন। ‘কেশ’ শব্দের ‘ক’-কে ব্রহ্মা, ‘আ’-কে বিষ্ণু এবং ‘ঈশ’-কে শিব রূপে বর্ণনা করে তন্ত্র। দেবীর ললাটে অর্ধচন্দ্র শোভা পায়। ‘মহানির্বাণতন্ত্র’ অনুসারে, তা নির্বাণ ও মোক্ষের প্রতীক। এই চন্দ্র থেকেই অমৃত ক্ষরিত হয়। দেবীর ললাটে যে চন্দ্র শোভা পায়, তা সপ্তদশী চন্দ্রকলা বা সপ্তদশী তিথির চাঁদ। তাকে ‘অমাকলা’-ও বলা হয়। দেবী ত্রিনয়না। এই তিন নয়ন চন্দ্র, সূর্য ও অগ্নির প্রতীক। এর দ্বারা তিনি অখিল জগৎকে দর্শন করে চলেছেন। তা ছাড়া, তিনি তিন কালের অর্থাৎ ভূত, ভবিষ্যৎ ও বর্তমানের দ্রষ্টা। তিনি সেই কারণেও ত্রিনয়না। কালী করালবদনা। তিনি সমস্ত বিশ্বকে গ্রাস করেন। এমনকি মহাকালকেও তিনি গ্রাস করেন। তাই তাঁর করাল বদন। দেবীর জিহ্বা দংশনের পিছনেও রয়েছে গভীর ব্যঞ্জনা। তাঁর জিহ্বা লেলিহান ও রক্তবর্ণ। শ্বেতদন্তে তিনি রসনাকে দংশন করে রয়েছেন। রক্তবর্ণ লোল জিহ্বা রজোগুণের প্রতীক। আর শুভ্র দন্ত সত্ত্বগুণের পরিচায়ক। দেবী প্রথমে রজোগুণ দ্বারা তমোগুণকে নাশ করেন। পরে সত্ত্বগুণের দ্বারা রজোগুণেরও লোপ ঘটান।

দেবীর কর্ণভূষণ দু’টি বালকের শব। তন্ত্র মতে এর দ্বারা বোঝানো হয় যে, মহেশ্বরের মতো বালকস্বভাব সাধকই তাঁর প্রিয়। দেবী মুণ্ডমালিনী। তাঁর গলায় শোভিত মালায় ৫০টি নৃমুণ্ড (মতান্তরে ৫১টি) শোভা পায়। এই ৫০টি মুণ্ড বস্তুত বর্ণমালার ৫০টি অক্ষরের প্রতীক। তন্ত্র মতে, প্রতিটি বর্ণের আবার ভিন্ন ভিন্ন অধিষ্ঠাত্রী দেবী রয়েছেন। সে দিক থেকে দেখলে, কালী সব দেবীশক্তিকেই ধারণ করেন। তিনি সব শক্তির উৎস ও বিলয়ের স্থল। অন্য দিক থেকে দেখলে, ‘বর্ণ’ শব্দের আর এক অর্থ ‘রং’। ভুবন দৃষ্ট হয় সাতটি বর্ণেই। বিশদে বললে, সাত ও সাতের গুণফল ৪৯ এবং তৎসহ সাদা ও কালো, অর্থাৎ ৫১টি বর্ণেই জগৎ দৃশ্যমান হয়। এই দিক থেকে ভাবলে, কালী স্বয়ং প্রকাশিত জগতের প্রতীক। দেবী চতুর্ভুজা। তাঁর বামোর্ধ্ব হাতে খড়্গ এবং বাম অধোহস্তে একটি ছিন্ন মুণ্ড। মনে করা হয়, খড়্গ দ্বারা তিনি সাধকের মোহপাশ ছিন্ন করেন এবং হস্তে ধৃত মুণ্ডটি যাবতীয় তত্ত্বজ্ঞানের আধারের প্রতীক। দেবীর দক্ষিণ দিকের উপরের হাতে অভয়মুদ্রা এবং অধোহস্তে বরমুদ্রা। দেবীর পদতলে শব রূপে শিব বিরাজ করেন। সে কারণে তাঁকে ‘শবারূঢ়া’-ও বলা হয়। শবরূপ শিব নির্গুণত্বের প্রতীক। মহাকালীর পদতলে শায়িত শিব শক্তিরহিত। তিনি নিষ্ক্রিয়। দেবীই ক্রিয়াশীল। তাঁকে তুষ্ট করতে পারলেই যাবতীয় গুণাতীতের সন্ধান পাওয়া যায়। তন্ত্র মতে কালী মূর্তি দুই প্রকারের— ‘আলীঢ়পাদা’ ও ‘প্রত্যালীঢ়পাদা’। অর্থাৎ, দেবীর বাম পা অগ্রবর্তী হলে তিনি ‘আলীঢ়পাদা’। দক্ষিণ পা অগ্রবর্তী হলে তিনি ‘প্রত্যালীঢ়পাদা’। এর অর্থ তিনি এক পা অতীতে ও এক পা ভবিষ্যতে রেখে কালের অধিষ্ঠাত্রী হিসেবে অবস্থান করছেন (Spirituality) । দেবী শবহস্তের মেখলা বা অধোবাস ধারণ করেন। হাতের দ্বারাই যাবতীয় কর্ম সম্পন্ন হয়। হাত এ ক্ষেত্রে কর্মফলের প্রতীক। কালী সেই কর্মফলকেই নিজদেহে ধারণ করেন। দেবী শিবাকুল বা শৃগাল পরিবৃতা (Spiritual) । তিনি যেহেতু শ্মশানচারিণী, সেহেতু শ্মশানবাসী শৃগালেরা তাঁর সঙ্গী। ‘শ্মশান’ বলতে এখানে জীবের স্থূল শরীরের বিনাশের স্থানকে বোঝানো হয়েছে। দেবীর এই আপাত-জটিলরূপকে উত্তীর্ণ করে রয়েছে তাঁর ভাবরূপ। যা কখনও কন্যা রূপে, কখনও বা নিতান্ত গ্রাম্য রমণীর আঙ্গিকে বর্ণিত হয়েছে রামপ্রসাদ, কমলাকান্ত, দাশরথী রায় থেকে শুরু করে কাজী নজরুল ইসলামের মতো কবির লেখনিতে। শাস্ত্রে (Astrology) তিনি যত ভয়ঙ্করীই হন না কেন, লোক বিশ্বাসে তিনি ঘরের মেয়ে। আদতে নিরাকারা দেবী কখন শ্বেত, কখনও পীত, কখনও নীল-লোহিত রূপে দৃশ্যমান হলেও তিনি সেই বালিকা, যে কিনা বেড়া বাঁধতে সাহায্যকরে সাধককে। যে বেড়ায় প্রতিহত হয় মায়া-মোহ-রিপু সমূহ। সাধক হয়ে ওঠেন সর্বজয়ী।

কালী পুজোর প্রচলন কবে থেকে শুরু

কালী পূজার কালী শব্দটি কাল শব্দের স্ত্রীর রূপ, যার অর্থ হল কৃষ্ণ বর্ণ বা গুরু বর্ণ। বিভিন্ন পুরাণ থেকে থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মহামায়া মা দুর্গার অন্য একটি রূপ হল কালী। প্রাচীন গ্রন্থে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী কালী একটি দানবীর রূপ। মহাভারতে কালীর উল্লেখ রয়েছে, সেখানে যোদ্ধা এবং পশুদের আত্মা বহন করেন যিনি, সেই তিনিই কাল রাত্রি কালী নামে পরিচিত। জানা যায়, নবদ্বীপের এক তান্ত্রিক যার নাম কৃষ্ণানন্দ তিনি বাংলায় প্রথম কালীমূর্তি বা প্রতিমা পূজার প্রচলন করেন। তার আগে মা কালীর উপাসকরা তাম্র পটে বা খোদাই করে কালীর মূর্তি এঁকে মা কালী সাধনা করতেন। অষ্টাদশ শতাব্দীতে নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় কালী পূজাকে জনপ্রিয় করে তোলেন এবং এইভাবে মা কালীর প্রতিমা পূজার প্রচলন শুরু। উনবিংশ শতাব্দীতে বাংলার বিভিন্ন ধনী জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতায় কালীপুজোর ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়।

কালীর একাধিক রূপ

পুরাণে দেবী কালীর একাধিক রূপের বর্ণনা পাওয়া যায়। যেমন দক্ষিণা কালী, শ্মশান কালী, ভদ্রকালী, রক্ষাকালী ,গ্রহ কালী, চামুণ্ডা, ছিন্নমস্তা প্রভৃতি। মহাকাল সংহিতা অনুসারে মা কালীর আবার নব রূপের পরিচয় পাওয়া যায়। যেমন কাল কালী, কঙ্কাল কালী, চিকা কালী এমন সব রূপের রূপের পরিচয়ও পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন মন্দিরে ব্রহ্মময়ী , আনন্দময়ী, ভবতারিণী, আনন্দময়ী ইত্যাদি নামেও মা কালীর পূজা বা উপাসনা করতে দেখা যায়।

কালী পূজার সময়কাল দুর্গাপূজার পরবর্তী অমাবস্যাতে দীপান্বিতা কালী পূজা করা হয়। এছাড়াও মাঘ মাসে রটন্তি কালীপূজা এবং জ্যৈষ্ঠ মাসে ফলহারিণী কালীপূজা ধুমধাম করে অনুষ্ঠিত করা হয়। অনেক জায়গায় প্রতি অমাবস্যায় এছাড়াও বিভিন্ন সিদ্ধ অমাবস্যায় এছাড়াও বিভিন্ন সিদ্ধ পিঠে প্রতিদিন এবং প্রতি শনি ও মঙ্গলবার মা কালী পূজার প্রচলন দেখা যায়।

পৌরাণিক কাহিনি

মা কালীর উত্‍পত্তির পৌরাণিক ব্যাখ্যা সনাতন ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী মা কালীর আবির্ভাব সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া যায় তা হল পুরাকালে শুম্ভ এবং নিশুম্ভ নামক দুই দৈত্য সারা পৃথিবী জুড়ে তাদের ভয়ঙ্কর ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল।দেবতারাও এই দুই দৈত্যের কাছে যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করে। ফলে দেবলোক তাদের হাতছাড়া হয়ে যায়, তখন দেবরাজ ইন্দ্র দেবলোক ফিরে পাওয়ার জন্য আদ্যশক্তি মা মহামায়ার তপস্যা করতে থাকেন । তখন দেবী সন্তুষ্ট হয়ে তাঁদের কাছে আবির্ভূত হন এবং দেবীর শরীর কোষ থেকে অন্য এক দেবী সৃষ্টি হয় যা কৌশিকী নামে ভক্তদের কাছে পরিচিত দেবী কৌশিকী মা মহামায়া দেহ থেকে নিঃসৃত হলে কালো বর্ণ ধারণ করে যা দেবী কালীর আদিরূপ বলে ধরা হয়। কালী পূজার বিভিন্ন পদ্ধতি তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মধ্যরাত্রে অর্থাত্‍ অমাবস্যার রাত্রে মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে কালী পূজা করা হয়। আগেকার দিনে, দেবীকে সন্তুষ্ট করতে পশু রক্ত বা পশু বলি করে উত্‍সর্গ করা হয়। এছাড়াও প্রসাদ হিসেবে লুচি এবং নানা ফল ভোগ দেওয়া হয়ে থাকে। গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ মতে মা কালীর পুজা দেখা যায় ।এক্ষেত্রে অনেক সময় জমিদার বাড়িতে ছাগ বা মহিষ ছাগল বা মহিষ বলি দেওয়া হত এবং বর্তমানেও অনেক জায়গায় পশু বলির মাধ্যমে পূজার প্রচলন দেখা যায় । পুরাকালে বা প্রাচীন সময়ে বিভিন্ন ডাকাতের দল নরবলির মাধ্যমে কালী পূজা করত করত বলে শোনা যায়।

(collected)

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *