www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

March 27, 2025 12:35 pm

'গীতগোবিন্দ' কাব্যের কবি জয়দেব ছিলেন বিষ্ণুভক্ত। তাঁর সেই ভক্তির প্রকাশ 'গীতগোবিন্দ'। প্রচলিত বিশ্বাস বীরভূম-বর্ধমান জেলার সীমান্ত বরাবর বয়ে চলা অজয় নদের ধারে কেন্দুলি গ্রামে কবি জয়দেবের জন্ম।

‘গীতগোবিন্দ’ কাব্যের কবি জয়দেব ছিলেন বিষ্ণুভক্ত। তাঁর সেই ভক্তির প্রকাশ ‘গীতগোবিন্দ’। প্রচলিত বিশ্বাস বীরভূম-বর্ধমান জেলার সীমান্ত বরাবর বয়ে চলা অজয় নদের ধারে কেন্দুলি গ্রামে কবি জয়দেবের জন্ম। তাই তাঁর স্মরণে বহু বছর ধরে ওখানে হয়ে চলেছে জয়দেব মেলা বা জয়দেব-কেন্দুলি মেলা। অজয় নদের পাড়ে ছোট্ট গ্রাম জয়দেব কেন্দুলি। নদীর পাড়ে বাউল আখড়ায় বসেছে জমজমাট গানের আসর। প্রতিবছরই এই সময়টার অপেক্ষায় দিন গোনেন বাউলপ্রেমী মানুষজন। মকরস্নানের দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় গান-বাজনা, মেলা, উত্‍সব। কেন্দুলি গ্রামে গীতগোবিন্দের রচয়িতা কবি জয়দেবের জন্মস্থান। লক্ষ্মণসেনের সভাকবি ছিলেন তিনি। লক্ষ্মণসেনই এখানে রাধামাধব মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।

অজয় নদে মকর সংক্রান্তির দিনে পুণ্যার্থীরা স্নান করেন। এই সময় নদীতে জল কম থাকে। সেই কারণে প্রতিবছর প্রশাসন থেকে বালি তুলে জল জমানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে ডুব দেওয়ার জন্য পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা ঘাট বানানো হয় প্রতিবছর। জয়দেব মেলা মানেই বাউল গানের আসর। সেই সঙ্গে অবশ্যই কীর্তন। প্রতিবছর এই মেলায় তৈরি করা হয় কীর্তনীয়াদের জন্য কীর্তনের আখড়া এবং বাউলদের জন্য বাউলের আখড়া। প্রায় ৩০০ টি আখড়া তৈরি করা হয় মেলাটিতে। মেলার স্থানের পাশের রামপুর ফুটবল মাঠেও চলে মেলা।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *