৩ ফেব্রুয়ারি বাকদেবীর আরাধনায় মেতে উঠেছিলেন সারা ভারত। আর আগামী ১৪ মার্চ হোলি। এখনও এক মাস এগারো দিন বকি। কিন্তু ব্রজধামে ৩তারিখ থেকেই শুরু হয়ে গেছে হোলি উৎসব। বসন্ত পঞ্চমীর দিন সেখানে হোলি শুরু হয়ে যায়। এরপর এই উৎসব চলতে থাকে টানা ৪০ দিন। কেন সেখানে একমাসেরও বেশি সময় ধরে হোলি পালন হয়? এ বিষয়ে বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দিরের পুজারী নীতীন সাবারিয়া গোস্বামীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘হোলির যে ৪০ দিনের উৎসব, সেটা বসন্ত পঞ্চমীর দিন থেকে সারা ব্রজে পালিত হয়। বসন্ত পঞ্চমীর দিন থেকে হোলির শুভারম্ভ হয়। বিভিন্ন মন্দিরে এই দিন থেকে আবির ওড়ানো হয়। ঠাকুরজি মহারাজকে প্রতিদিন সকালে ও রাতে দু’বার ফেটা বাঁধা হয়। যখন ঠাকুরজি গোয়ালা রূপে থাকতেন, তাঁর যে গোয়ালা বন্ধুরা ছিল, তাঁদের সঙ্গে জায়গায় জায়গায় গিয়ে আবির ওড়াতেন।’
জানা যায়, এই সময় বৃন্দাবনের নানা মন্দিরে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে। তার মধ্যে অন্যতম বাঁকে বিহারী মন্দির। সেখানকার পুজারীর কথা অনুযায়ী, বসন্ত পঞ্চমীর দিন আরতির পর ভক্তদের জন্য আবির ওড়ানো হয়। সেখানে হোলির গান গাইতে থাকেন আগত ভক্তবৃন্দ। বাঁকে বিহারী মন্দিরে ভক্তদের ভিড়ের জন্য রোজ হোলি পালন করা যায় না। তবে বিহারীজিকে রোজ আবির লাগিয়ে দেন সেখানকার সেবাইতরা। নিয়ম বলে এখানেও ৪০দিন হোলি পালন করা উচিত। কিন্তু নিধিবনে বিহারীজির যে আর এক মন্দির রয়েছে, সেখানে নিয়ম করে আবির ওড়ানো হয়।