www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 18, 2024 3:46 pm
maa gayatri

"Let us adore the supremacy of that divine sun, the god-head who illuminates all, who recreates all, from whom all proceed, to whom all must return, whom we invoke to direct our understandings aright in our progress toward his holy seat." 

কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একবার বন্ধু রোমারোঁলা বলেছিলেন, হিন্দু ব্রাহ্মণেরা প্রতিদিন সম্পূর্ণ ‘বেদ’ পাঠ করেন। কথাটা শুনে বন্ধু কিছুটা অবাকই হন। কারণ এতো বড়ো বেদ প্রতিদিন সম্পূর্ণ পাঠ কী করে করেন? তখন তাঁর মনের সন্দেহ দূর করে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, বেদের নির্যাস হলো ‘গীতা’ আর গীতার নির্যাস হলো ‘গায়ত্রীমন্ত্র’। ব্রাহ্মণেরা প্রতিদিন ‘গায়ত্রীমন্ত্র’ উচ্চারণ করেন। তাই বলা হয় তারা প্রতিদিন ‘বেদ’ পাঠ করেন।

এই গায়ত্রীমন্ত্র কী? এর অর্থ কী? আমাদের জানা দরকার। মূল বৈদিক ভাষায় লিখিত গায়ত্রী মন্ত্রটি হলো –

“ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ
তৎ সবিতুর্বরেণ্যং
ভর্গো দেবস্য ধীমহি
ধিয়ো য়ো নঃ প্রচোদয়াৎ।।”

এই মন্ত্রের একাধিক বাংলা অনুবাদ পাওয়া যায়। যেমন পন্ডিত উইলিয়াম জোন্স গায়ত্রী মন্ত্রের ইংরেজি ও বাংলা অনুবাদ করেছেন এই ভাবে –

“Let us adore the supremacy of that divine sun, the god-head who illuminates all, who recreates all, from whom all proceed, to whom all must return, whom we invoke to direct our understandings aright in our progress toward his holy seat.”

বাংলা অনুবাদঃ “আসুন আমরা সেই স্বর্গীয় সূর্যদেবের সর্বশ্রেষ্ঠতাকে পূজা করি, ঈশ্বর এর সেই শক্তি যে সবকিছুকে আলোকিত করে, যিনি সবকিছুকে পুনরায় সৃষ্টি করেন, যার থেকে সবকিছু অগ্রসর হয়, যার কাছে সবকিছু অবশ্যই ফিরে যাবে, যাকে আমরা আমাদের উপলব্ধিকে তাঁর পবিত্র আসনের দিকে আমাদের অগ্রগতিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে আবাহন করি।”

আবার কবি রবীন্দ্রনাথ (Rabindranath Tagore) গায়ত্রী মন্ত্রের বাংলা অনুবাদ করে লিখেছেন, (Gayatri Mantra)

“যাঁ হতে বাহিরে ছড়ায়ে পড়িছে পৃথিবী আকাশ তারা ,
যাঁ হতে আমার অন্তরে আসে বুদ্ধি চেতনা ধারা
— তাঁরি পূজনীয় অসীম শক্তি ধ্যান করি আমি লইয়া ভক্তি”।

একই ভাবে কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত অনুবাদ করে পদ্য ছন্দে লেখেন,
“তিমির-রূপিনী নিশা – সবিতা-সুন্দর!
সে তিমিরে তোমার সৃজন,
বিমল উজল আলো’ সৌন্দর্য-আধার!
ফুল্ল-ঊষা – অপূর্ব-মিলন।
কুসুমিতা বসুন্ধরা-
দ্যু-লোক আলোক-ভরা-
জনয়িতা-সবিতা-সবার!
বরণীয়-রমণীয় নিত্য জ্ঞানাধার!” (সবিতা)

গায়ত্রীর ধ্যানে আছে, তিনি সূর্যমণ্ডলের মধ্যস্থানে অবস্থানকারিনী, বিষ্ণু বা শিবরূপা, হংসস্থিতা বা গরুড়াসনা বা বৃষবাহনা। তিনি একাধারে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব। হিন্দু বিধান অনুসারে, সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যায় গায়ত্রী ধ্যান করতে হয় এবং এই মন্ত্র ধ্যান বা পাঠে মুক্তি প্রাপ্ত হয় বলে এর নাম ‘গায়ত্রী’। বেদজ্ঞ আচার্যের কাছে এই মন্ত্রে দীক্ষিত হলে তার পূণর্জন্ম হয় ও তিনি দ্বিজ নামে আখ্যাত হন। সেই কারণে দ্বিজ অর্থাৎ ব্রাহ্মণগণের উপাস্য। (Spiritual)

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *