খবরে আমরাঃ নিয়োগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও চাকরীর সুযোগ থেকে বঞ্চিত প্রার্থীদের আন্দোলনে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। লালবাজার সেই অনুমতি খারিজ করে দিলেও বিচারপতি শম্পা সরকার আন্দোলনকারীদের সেই আন্দোলনের অনুমতি দিয়েছেন. তবে মামলাকারীদের ইচ্ছা অনুযায়ী ব্যস্ত মেয়ো রোডে প্রেস ক্লাবের পরিবর্তে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের অফিসের বাইরে আন্দোলনে বসার অনুমতি দিয়েছে। এর জন্য বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মামলাকারীদের আইনজীবী শান্তনু মাঝি বলেন, মামলাকারীরা সকলেই মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে চাকরী পাওয়ার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। কিন্তু তাঁদের নিয়োগ থেকে বঞ্চিত করায় তাঁরা আন্দোলন করতে চেয়েছিলেন। পুলিশ সেই অনুমতি দিতে অস্বীকার করায় আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হই। পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আদালতের পরামর্শে এই আন্দোলন অনির্দিষ্টকালের পরিবর্তে দু সপ্তাহের জন্য প্রতিদিন হবে। এবং তা হবে শান্তিপূর্ণভাবেই। আমরা কমিশনের নজরে আনতে চাই যে প্রার্থীদের সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, সেই বিষয়টি মাত্র।
বিচারপতি শম্পা সরকারের নির্দেশ, কমিশনের বাইরে নির্দিষ্ট এলাকায় প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে দু সপ্তাহের জন্য। আন্দোলনের নামে কোনও ভাবেই রাস্তা আটকে পথচারী বা যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। আন্দোলনের সময়ে কমিশনের কোনও আদিকারীক বা কর্মী এবং কমিশনে কাজে আসা ব্যক্তিদের বাধা দেওয়া যাবে না। প্রতিদিন ৫০ জনের বেশি আন্দোলনকারী অংশ নিতে পারবেন না। আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে, আন্দোনের শর্ত না মানলে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারবে। এই আন্দোলন শুরুর ৭২ ঘন্টা আগে পুলিশকে অবগত করতে হবে।
রাজ্য অবশ্য এই আন্দোলনে বিরোধিতা করে। তারা জানায, প্রেস ক্লাব এলাকায় আন্দোলন চলছে। ফের এই প্রার্থীরা বসলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা দেখা দিতে পারে। ব্যস্ত মেয়ো রোড বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও পর্যপ্ত পুলিশ না থাকায় নজরদারির সমস্যা রয়েছে।