www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 26, 2024 12:39 am

খবরে আমরাঃ পাহাড়ের রাজনৈতিক সমাধান না করেই যদি গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এর নির্বাচন করা হয়, তা হলে অনশনে বসবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। শনিবার মোর্চার দার্জিলিং টাউন কমিটির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিমল গুরুং। ওই বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে মোর্চার তরফে। চুক্তিতে জিটিএ-কে যা যা দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছিল, সেই সব ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্যমেই যে পাহাড়ের আপাতত রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব, তা-ও স্পষ্ট দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।

পাহাড়ের রাজনৈতিক সমাধান না করেই যদি গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এর নির্বাচন করা হয়, তা হলে অনশনে বসবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। শনিবার মোর্চার দার্জিলিং টাউন কমিটির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিমল গুরুং। ওই বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে মোর্চার তরফে। চুক্তিতে জিটিএ-কে যা যা দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছিল, সেই সব ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্যমেই যে পাহাড়ের আপাতত রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব, তা-ও স্পষ্ট দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।

দার্জিলিঙের একটি বেসরকারি ভবনে মোর্চা নেতৃত্বের সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ বৈঠক করেন বিমল। এ ছাড়াও ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন রোশন গিরি ও দলের অন্যান্য নেতৃত্ব। বৈঠকের পর বিমল স্পষ্ট জানান, মোর্চার সঙ্গে বৈঠক না করে জোরজবরদস্তি যদি জিটিএ নির্বাচন করা হয়, তা হলে আমরণ অনশনে বসা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘২০১১ সালের জিটিএ চুক্তি পূরণের দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আজ (শনিবার) একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে মোর্চার পক্ষ থেকে। জিটিএ নির্বাচন নিয়ে রাজ্যে আমাদের সঙ্গে বৈঠক করতে হবে। তা না করে যদি জোর করে জিটিএ নির্বাচন করা হয়, তা হলে দার্জিলিং মোড়ের সামনে আমরণ অনশনে বসব আমরা।’’

পাহাড়ের মানুষের প্রতিনিধি হিসাবে নিজেকে তুলে ধরে রাজ্য ও কেন্দ্রের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল মোর্চা। পরে আলাদা রাজ্যের দাবি ঘিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে মতবিরোধ এবং বিজেপির সঙ্গে সখ্য তৈরি হয়েছিল গুরুংদের। যদিও গত বিধানসভা নির্বাচনের আগেই আবার পদ্মের সঙ্গ ছেড়ে জোড়াফুলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান গুরুং। সেই তাল আবার কাটে গত পুরভোটের পর মমতার দার্জিলিং সফরের সময়ে। ওই সফরে জিটিএ ভোট নিয়ে পাহাড়ের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকেই মমতার কাছে মোর্চা নেতা রোশনের দাবি ছিল, জিটিএ নির্বাচনের আগে পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করা হোক। জিটিএ নির্বাচন নিয়ে মোর্চা যে বেঁকে বসেছে, তা তখনও মুখ্যমন্ত্রীর কথায় স্পষ্ট হয়েছিল। মমতা বলেছিলেন, ‘‘বিমলদের জিটিএ নির্বাচন নিয়ে কিছু দাবি রয়েছে। সেটা ওঁরা জানাবে।’’

এর পর গত সোমবারই মোর্চার তরফে ওই দাবি সংক্রান্ত একটি খসড়া প্রস্তাব পাঠানো হয় নবান্নে। প্রস্তাবে মোর্চা নেতৃত্বের স্পষ্ট কথা, পৃথক গোর্খাল্যান্ডই পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান। এরই পাশাপাশি, আপাতত রাজনৈতিক সমাধানের পথও বাতলে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, জিটিএ চুক্তিতে যা যা দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছিল, তা পুরোপুরি দেওয়া হয়নি। সেই সব প্রশাসনিক, আর্থিক এবং নির্বাহী ক্ষমতা দিলে আপাতত রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব। ঘটনাচক্রে, গত সোমবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায়, আগামী জুন মাসেই পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন করার কথা ভাবা হয়েছে। রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিজেদের মধ্যে বৈঠকের পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও ভোটের দিন ক্ষণ এখনও স্থির হয়নি।

রাজ্য সরকারের উদ্দেশে অনশনের হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি শনিবার মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতেও মোর্চার খসড়া প্রস্তাব বিবেচনা করার আবেদন জানিয়েছেন বিমল। চিঠিতে তিনি বার বার বোঝাতে চেয়েছেন, তাঁর দল সরকারের কতটা নির্ভরযোগ্য সহযোগী। কিন্তু প্রকাশ্যে বলতে গিয়ে বেশ সুর চড়াতেই দেখা গেল বিমলকে। ব্যঙ্গের সুরেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘দার্জিলিং শান্ত রয়েছে! পাহাড় শান্ত রয়েছে! দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা চৌরাস্তায় আসুন। তারা দেখুন। প্রথমে রিলে অনশনে যাব। সরকার যদি তার পরেও না মানে, তা হলে আমরণ অনশনে বসব।’’

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *