ট্যাংরার আগুন আরও ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে। কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার নাম নেই। দমকলের ইঞ্জিন সংখ্যা বেড়ে হয়ে গিয়েছে ১৫। একসঙ্গে সবকটি ইঞ্জিন ব্যবহার করেও আগুনকে বাগে আনা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। আগুন নেভাতে গিয়ে তিন দমকল কর্মীর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার খবর মিলেছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আগুন এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে আতঙ্কে বাসিন্দারা। আশপাশে জলের উৎস না থাকায় জল শেষ হয়ে যাওয়ায় মুশকিলে অগ্নি নির্বাপক সংস্থার কর্মীরা। জলের বালতি করে জল ঢেলে আগুন নেভানোয় হাত লাগালেন স্থানীয়রাও।
দমকল জানিয়েছে, রেক্সিন, ফোমের গুদাম হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে দাহ্য বস্তু থাকায় আগুনকে বাগে আনা সহজ হচ্ছে না। বিরাট আগুনের তাপে উত্তপ্ত গোটা এলাকা। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। আগুন পাশের বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর। খালি করা হচ্ছে গুদাম সংলগ্ন এলাকা। গুদামের পিছনেই রয়েছে একটি বস্তি এলাকা। আগুন শীঘ্রই নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে সেখানেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা।
ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত গোটা কারখানা। ভেঙে পড়েছে ছাদ। আগুনের লেলিহান শিখায় কাছে গিয়ে জল দিতেও বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। প্রবল উত্তাপে ফাটল ধরেছে কারখানার দেওয়ালে। যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে এটি। আগুন যাতে বাইরে ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকেই প্রাথমিক লক্ষ্য দমকলকর্মীদের।
দমকল সূত্রে খবর, এদিন সন্ধ্যা ৬:২০ নাগাদ মেহের আলি রোডের কাছে একটি কারখানায় আচমকা আগুন লেগে যায়। ধীরে ধীরে আগুন বড় আকার নেয়। লেলিহান শিখা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, খবর দেওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর এসেছে দমকল। এই নিয়ে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানান, ”কার ভুল সে পোস্টমর্টেম পরে হবে আগে তো আগুন নিভুক।”
ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের পর ট্যাংরা। শনিবার বিকেলে আরও এক অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হল কলকাতা। এদিন ভোরবেলা মির্জা গালিব স্ট্রিটের একটি হোটেলে আগুন লেগেছিল। সন্ধ্যা গড়াতেই ট্যাংরা এলাকায় বিশাল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।