গর্ভধারণকালে মহিলাদের নানা কিছু খাওয়ার ইচ্ছা থাকে। এ সময় চকোলেট খেতে ভালোবাসেন অনেক মহিলা। তবে চকোলেট খেলেও গর্ভাবস্থায় এটি খাওয়া উচিত কী না, তা নিয়ে অনেক গর্ভবতী মহিলার মনেই সংশয় থাকে। গর্ভাবস্থায় চকোলেট খাওয়া যায় কী না এবং এর ফলে কী উপকার বা ক্ষতি হতে পারে জেনে নিন।
গর্ভাবস্থায় চকোলেট খাওয়া কি উচিত?
এনসিবিআইয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এ সময় চকোলেট খেলে গর্ভবতী মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের লাভ হতে পারে। এর ফলে প্রি-অ্যাক্লেম্পশিয়া (উচ্চ রক্তচাপ) নিয়ন্ত্রণ, হদযন্ত্র ও প্লাসেন্টা সার্কুলেশানে উন্নতি হয়।
প্রেগনেন্সিতে কোন এবং কত পরিমাণে চকোলেট খাওয়া উচিত?
গর্ভবতী মহিলারা ডার্ক ও সাদা উভয় ধরনের চকোলেট খেতে পারেন। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী গর্ভাবস্থায় প্রতি। দিন ৬.৭ গ্রাম চকোলেট খেলে ফোলা ভাব কম করা যায়।
গর্ভাবস্থায় চকোলেট খাওয়ার উপকারিতা
১. গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ
প্রি-অ্যাক্লেম্পশিয়া অর্থাৎ গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কম করতে চকোলেট সাহায্য করে। এতে উপস্থিত ম্যাগনেশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২. হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য
প্রেগনেন্সিতে চকোলেট খেলে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখা যায়। চকোলেট খেলে কার্ডিও মেটাবলিক ডিসিস অর্থাৎ হৃদয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সমস্যার ঝুঁকি কমানো হয়। চকোলেটে ফ্ল্যাভেনলস নামক উপাদান থাকে, যা হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
৩. কোলেস্টেরল কম করে
গর্ভাবস্থায় কোলেস্টেরল কম করতেও চকোলেট সাহায্য করে। কোলেস্টেরলে উপস্থিত প্লান্ট স্টেরোল্স ও কোকো ফ্ল্যাভোনল্স কোলেস্টেরলের স্তর কম করে।
৪. শরীরে শক্তি জোগায়
প্রেগনেন্সির সময় শরীরে অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন। চকোলেট শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান পূর্ণ করে। তাই এ সময় চকোলেট খাওয়া যেতে পারে।
৫. চোখের স্বাস্থ্যের জন্য
দৃষ্টি শক্তি মজবুত করতেও চকোলেট সাহায্য করে। মিল্ক চকোলেট বা হোয়াইট চকোলেটের পরিবর্তে ডার্ক চকোলেট খেলে দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায় ও চোখের সমস্যা দূর হয়।