খবরে আমরাঃ আয় স্থিমিত। থমকে গিয়েছে। কিন্তু বাড়ছে খরচ। চাল ৫০ টাকা কেজি, তেল ২৩০ টাকা কেজি….দিন দিন বাড়ছে সংসার চালানোর খরচ। কিন্তু আয় সেই থমকে আছে এক জায়গায়। বরং তা কমেছে করোনা পরবর্তী সময়ে। চেষ্টা করেও আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য ঘটাতে পারছে না? মাস গেলে যা হাতে আসছে, তার চেয়ে অনেক বেশি টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে! আর্থিক অবস্থা নিয়ে নাজেহাল হলে আপনার পরিত্রাতা হতে পারে ফেংশুই। নিজের চারপাশটা মঙ্গলজনক ভাবে সাজিয়ে নেওয়ার এই চিনা শাস্ত্র আপনার উপকারে আসতে পারে। ছোট্ট কয়েকটা ফেংশুই টিপস মেনে চললে দেখবেন খরচ আয়ত্তের মধ্যে এনে বেশ কিছুটা জমিয়েও ফেলতে পারবেন আপনি।
* আর্থিক অবস্থা আয়ত্তের মধ্যে আনতে হলে বাড়ি থেকে প্রথমেই ভাঙাচোরা জিনিসপত্র সরিয়ে দিন। মৃত গাছ কখনোই বাড়িতে রাখবেন না।
* অর্থ সঞ্চয় করতে চাইলে ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণ আপনার বাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফেংশুই মতে একে ‘সমৃদ্ধির দিক’ বলা হয়। এই কোণে কোনও ধাতব বস্তু রেখে দিলে চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি করবে। ফেংশুই কয়েন এখানে রাখলেও উপকার পাবেন।
লাফিং বুদ্ধা
* আপনার ঘরের কোনও একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশে ‘সম্পদশালী বুদ্ধমূর্তি’ রাখুন। এই বুদ্ধমূর্তি ফেংশুই মতে Buddha of wealth নামে পরিচিত। এই বুদ্ধমূর্তির হাতে টাকার থলি অথবা সোনার বার থাকে।
* টাটকা ফুল ঘরে রাখুন। ফুলের গন্ধ পজিটিভ এনার্জিকে আকর্ষণ করে। রোজ ঘরে টাটকা ফুল রাখা কঠিন মনে হলে ফুলের ছবি ঘরে রাখুন। এতে পুরোটা না হলেও কিছুটা কাজ হবে।
আয়নার গুরুত্ব
* ফেংশুইয়ে আয়নার গুরুত্ব অপরিসীম। ঘরের বিভিন্ন জায়গায় নানা আকার ও মাপের আয়না রাখুন। আয়নায় আলো প্রতিফলিত হয়ে গোটা ঘরে ছড়িয়ে পড়বে এবং পজিটিভ এনার্জিকে আকর্ষণ করবে।
* আপনার ঘরে পাপোশের তলায় একটা খুচরো পয়সা রেখে দিন। ফেংশুই মতে এটি সম্পদকে আকর্ষণ করে।
* সঞ্চয় করতে চাইলে রঙের গুরুত্ব অপরিসীম। আপনাকে বুঝতে হবে। সবুজ এবং লালের মতো উজ্জ্বল রং পজিটিভ এনার্জিকে আকর্ষণ করে। বিশেষ করে ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে এই দুই রঙের ব্যবহার বেশি করুন।