প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাস্যায় দেবি কালী ‘ফলহারিণী’ রূপে পূজিত হন। তিথি আনুযায়ী সোমবার, ২৬ মে দেবি কালী ফলহারিণী রূপে পুঁজিত হচ্ছেন। আজ মহা ধমধামের সঙ্গে তারাপীঠ, কালীঘাট সহ বিভিন্ন কালী মন্দিরে দেবি পূজিত হচ্ছেন। ফলহারিণী কথার অর্থ হল ফল হরণকারী। ফলহারিণী রূপে আদ্যাশক্তি মহামায়া কালী সব অশুভ ফল হরণ করেন। হিন্দুমতে প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে এই তিথিতে মা কালীর পুজো করলে অশুভ কাজের ফল নাশ হয় এবং শুভ ফল লাভ হয়। শাস্ত্রমতে ফলহারিণী অমাবস্যার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। মনে করা হয়, এই দিনে স্বয়ং দেবী ভক্তের মনের সাধ পূরণ করার জন্য মর্ত্যে নেমে আসেন। এ দিন দেবীকে নানা মরশুমি ফল দিয়ে পুজো করার বিধি আছে। তারাপীঠের মতো অনেক মাতৃপীঠেই এ দিন ফুলের বদলে ফল দিয়ে কালী মূর্তিকে সাজানো হয়। ফলহারিণী কালীপুজোয় মনের ইচ্ছে পূরণ করার জন্য বিশেষ পুজো করা হয়। এ দিন দেবীকে সবচেয়ে প্রিয় ফলটি নিবেদন করে পুজো দিতে হয়। পুজোর পর ওই প্রসাদী ফল বাড়িতে এনে রেখে দিন।
জৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যায় ফলহারিণী কালীপুজো করলে মা কালীর আশীর্বাদ লাভ করা সম্ভব হয়। এ দিন মায়ের আরাধনা করলে অর্থলাভ হয়, যশোলাভ হয়, পেশাগত জীবনে উন্নতি হয় এবং সংসারে সুখ শান্তি বজায় থাকে। ফলহারিণী কালীপুজো করলে ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালাভের পথ বাধা দূর হয় বলে প্রচলিত বিশ্বাস। দেবী ফলহারিণী আমাদের যাবতীয় অশুভ কর্মফল হরণ করে মোক্ষফল দান করেন। দক্ষিণেশ্বর মন্দিতে বিশেষ উৎসব হয় আজ। কারণ ১২৮০ বঙ্গাব্দে ফলহারিণী অমাবস্যার রাতে সারদা মা-কে ষোড়শী রূপে পুজো করেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণদেব। সেই কারণে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে উদযাপিত হয় ফলহারিণী কালীপুজো।