www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 26, 2024 4:18 pm

অবৈধ নিয়োগ নিয়ে সিবিআই (cbi) একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্ট দেখে বিচারপতি জানান, নবম - দশম এবং একাদশ - দ্বাদশে প্রচুর সংখ্যক সাদা খাতা জমা দেওয়া হয়েছে, প্রচুর খাতায় শুধুমাত্র ৫-৬ টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে।গ্রুপ সি, গ্রু়প ডি তেও একই জিনিস হয়েছে। কিন্তু এদের নম্বর দেওয়া হয়েছে উত্তীর্ন দেখানোর জন্য।

নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে যাকা অবৈধভাবে নিয়োগ হয়েছে তারা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করুন।

বুধবার মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (calcutta highcourt) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (justice avijit gangopadhyay) । তাঁর হুঁশিয়ারি, ৭ নভেম্বরের মধ্যে তাঁরা পদত্যাগ করে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (school service commission) অবগত করুক। কোনও সরকারি চাকরীতে তারা আবেদনের সুযোগ পাবে না। নইলে এবার আদালতই খুঁজে খুঁজে তাঁদের বরখাস্ত করবে। বরখাস্ত করার আগে একটা শোধরানোর সুযোগ দিতে চাই, মন্তব্য বিচারপতির।

অবৈধ নিয়োগ নিয়ে সিবিআই (cbi) একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্ট দেখে বিচারপতি জানান, নবম – দশম এবং একাদশ – দ্বাদশে প্রচুর সংখ্যক সাদা খাতা জমা দেওয়া হয়েছে, প্রচুর খাতায় শুধুমাত্র ৫-৬ টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে।গ্রুপ সি, গ্রু়প ডি তেও একই জিনিস হয়েছে। কিন্তু এদের নম্বর দেওয়া হয়েছে উত্তীর্ন দেখানোর জন্য।

বিচারপতির নির্দেশ, এরা সবাই সুপারিশ পত্র ও নিয়োগ পত্র পেয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আদালতের আরও নির্দেশ, অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (school education) নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবে। সিবিআই এর থেকে এই সব তথ্য নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানাবে এদের মধ্যে কতজন অবৈধভাবে সুপারিশ পত্র পেয়েছেন।

মামলকারির আইনজীবীরাও কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে অবৈধভাবে নিযুক্ত দের সংখ্যা খুজে বের করবে। এরা প্রত্যেকেই সুপারিশ পত্র ও নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে সিবিআইয়ের রিপোর্টে বলে মন্তব্য বিচারপতির।

বিচারপতি জানান, সিবিআই নিশব্দে দিল্লি ও গাজিয়াবাদে হানা দিয়ে মূল নথি উদ্ধার করতে পেরেছে। তারপর তারা স্কুল সার্ভিস কমিশনের দেওযা তথ্যর সঙ্গে যাচাই করছে। বিচারপতি বলেন, কালপ্রিটকে ধরতে হবে।

আজকের রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে সিবিআই ভালো কাজ করছে, তাদের ধন্যবাদ। তারা নিশব্দে অনেক অগ্রগতি করেছে। মূলচক্রীকে খুজে বের করতে পারবে বলে আদালত আশাবাদী। দেশকে বাঁচাতে সিবিআই আধিকারিকদের নিজেদের দ্বায়িত্ব পালন করতে হবে।

যেকোন ভাবেই দেশকে বাঁচাতে হবে, সেজন্যই সিবিআই, ইডি এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থা গুলি আছে। এরপরেই বিচারপতি বলেন, যারা অবৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছেন তাদের নিজে থেকে পদত্যাগ করা উচিত।
৭ ই নভেম্বরের মধ্যে তারা পদত্যাগ করবেন বলে আদালত প্রত্যাশা করে।
তা না করে তারা যদি নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন তাহলে আদালত কড়া পদক্ষেপ নেবে। সিবিআই বলছে তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য সব জানেন কিন্তু মুখ খুলছেন না। তাকে বলতে হবে কে কে জড়িত।

মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোন সরকারি চাকরির জন্য তারা আবেদন করতে পারবেন না। যারা পদত্যাগ করবেন তারা সেবিষয়ে এসএসসি কে অবগত করবেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে, ১৬ ই নভেম্বর পরবর্তী শুনানি।

সিবিআই বলছে তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য সব জানেন কিন্তু মুখ খুলছেন না। তাকে বলতে হবে কে কে জড়িত।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *