বাস্তুশাস্ত্রে ‘রং তত্ত্ব’ একটা বিশেষ তত্ত্ব। সেই তত্ত্বতে যেমন এক একবার এক এক রঙের পোশাকের কথা বলা হয়েছে, তেমনই লক্ষ্মী পুজোর দিনও বিশেষ রঙের পোশাকের নির্দেশ দিয়েছে। আপনি কি জানেন, এই দিনে কী রঙের পোশাক পরছেন, সেটিও আপনার ভাগ্য ও সমৃদ্ধির উপর প্রভাব ফেলতে পারে? বাস্তুশাস্ত্র কিছু রঙ মা লক্ষ্মীর প্রিয়, আবার কিছু রঙ এড়িয়ে চলাই ভাল। লক্ষ্মীপুজোয় কোন রঙের পোশাক পরা শুভ এবং কোনটা অশুভ?
বাস্তুমতে শুভ রং –
- গোলাপি – গোলাপি রঙ মিষ্টতা, ভালবাসা ও শান্তির প্রতীক। এই রঙে কোমল নারীত্ব এবং দেবী লক্ষ্মীর স্নিগ্ধতার ছোঁয়া আছে। গোলাপি শাড়ি বা কুর্তা পরে পুজোয় বসলে মানসিক প্রশান্তি বাড়ে এবং গৃহে ভাল সম্পর্ক বজায় থাকে বলে বিশ্বাস।
- লাল – লাল রঙ শক্তি, উজ্জ্বলতা ও সৌভাগ্যের প্রতীক। মা লক্ষ্মীর অনেক মূর্তিতেই তাঁকে লাল বস্ত্র পরিহিতা দেখা যায়। তাই লাল রঙের পোশাক পরলে আর্থিক উন্নতি ও ইতিবাচক শক্তি আকর্ষিত হয় বলে মনে করা হয়। তবে অত্যধিক গাঢ় লাল নয়—নরম বা রক্তলাল শেডই বেশি শুভ।
- সোনালি ও হলুদ – সোনালি ও হলুদ রঙ দেবী লক্ষ্মীর সম্পদ, আলো ও আনন্দের প্রতীক। এই রঙ শুভশক্তি টানে, মন উজ্জ্বল রাখে এবং ঘরে সমৃদ্ধি আনতে সাহায্য করে। তাই অনেকে এই দিনে সোনালি জরি দেওয়া হলুদ শাড়ি বা পোশাক বেছে নেন।
- সাদা – সাদা মানে পবিত্রতা ও শুদ্ধতা। পুজোর সময় যদি খুব গাঢ় রঙ না পরতে চান, তবে হালকা সাদা বা অফ-হোয়াইট রঙের পোশাকও উপযুক্ত। এতে মানসিক শান্তি ও আধ্যাত্মিকতা বৃদ্ধি পায়।
- সবুজ – সবুজ রঙ প্রকৃতি ও পুনর্জন্মের প্রতীক। এটি স্থিতিশীলতা ও বৃদ্ধি এনে দেয়। মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদে সংসারে স্থিতি ও উন্নতি আনতে সবুজ পোশাক পরা ভালো বলে মনে করা হয়। বাস্তুমতে অশুভ রং –
- কালো – কালো রঙ সাধারণত শোক ও অন্ধকারের প্রতীক। বাস্তুশাস্ত্র মতে, এই রঙ নেতিবাচক শক্তি আকর্ষণ করে। তাই লক্ষ্মীপুজোর দিনে কালো পোশাক পরা একেবারেই নিষেধ। এতে দেবীর কৃপা নষ্ট হতে পারে বলে ধারণা।
- ধূসর বা ছাইরঙা – এই রঙ স্থবিরতা ও দুর্ভাগ্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। লক্ষ্মীপুজোর মতো শুভ দিনে ধূসর পোশাক পরলে মনোবল কমে এবং আশাবাদী শক্তি হ্রাস পায়।
- নীলের গাঢ় শেড – যদিও হালকা আকাশি নীল প্রশান্তির প্রতীক, তবু গাঢ় নেভি বা ইনডিগো নীল এই দিনে পরা শুভ নয় বলে মনে করা হয়। এটি আধ্যাত্মিকভাবে শীতলতা আনে, যা লক্ষ্মীপুজোর উজ্জ্বলতার সঙ্গে খাপ খায় না।