খবরে আমরাঃ প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে উদযাপিত হয় রথযাত্রা। জগন্নাথদেরের স্মরণে পালিত হয় এই উৎসব। কথিত আছে, স্নানযাত্রার পনেরো দিন পর রথে চড়ে মাসির বাড়ি যান জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা৷ এক সপ্তাহ পর আবার তাঁরা ফিরে আসেন। রথযাত্রায় ওড়িশার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরই পৃথিবীর সব চেয়ে বড় উৎসবক্ষেত্র। তবে পুরীর জগন্নাথধামের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের অনেক জায়গায়ও ধুমধাম করে রথের আয়োজন করা হয়। এই বছর ১ জুলাই পড়েছে সোজা রথ এবং উল্টো রথ পড়েছে ৯ জুলাই।
রথযাত্রা অত্যন্ত পবিত্র দিন বলেই শাস্ত্রে উল্লিখিত রয়েছে। রথযাত্রার পূণ্য তিথিতে সহজ কিছু টোটকার মাধ্যমে নিজের ভাগ্যের চাকাও ঘুরিয়ে নিতে পারেন। আপনার জন্য রইল সেই টিপস৷
রথযাত্রার দিন এই কাজগুলো করুন
১) রথযাত্রার দিন গঙ্গা স্নান করুন। আর অবশ্যই জগন্নাথ মন্ত্র জপ করুন।
২) জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তিতে তুলসী এবং গোলাপের মালা দিন, এর সঙ্গে একটি গোটা ফল রাখুন।
৩) রথের দিন দান-ধ্যান করলে শুভ ফল পাওয়া যায়। গরীব মানুষ কিংবা শিশুদের হাতে সাধ্যমতো খাবারদাবার তুলে দিন৷
৪) এই দিন অন্তত একবার রথের দড়ি টানার বা স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এতে পুণ্যলাভ হয়। রথ টানা হচ্ছে – এ দৃশ্য দেখাও খুব শুভ।
৫) এই দিন যেকোনও শুভ কাজ করতে পারেন, যেমন – ভিত পুজো, গৃহপ্রবেশ, নতুন দোকান ও নতুন অফিস উদ্বোধন।
৬) রথের দিন বৃক্ষরোপণ করা শুভ। বিশ্বাস করা হয় যে, এই দিনে গাছ লাগালে পূণ্য লাভ হয়।
৭) রথের দিনে জগন্নাথ বিগ্রহের সামনে দাঁড়িয়ে ‘জয় জগন্নাথ’ উচ্চারণ করলেও পুণ্য অর্জন হয়।
৮) এ দিন ১০৮টি তুলসী পাতা দিয়ে তৈরি মালা জগন্নাথের গলায় পরিয়ে দিলে দেবতার বিশেষ আশীর্বাদ মেলে। এছাড়া, জগন্নাথের রথের সামনে দণ্ডী কাটলেও অশেষ পুণ্য অর্জন হয় বলে বিশ্বাস।
৯) রথের দিন জলে নিমপাতা দিয়ে স্নান করলে জীবনের সকল বাধা বিপত্তি কেটে যায় এবং শরীর থেকে নেগেটিভ এনার্জি দূর হয়ে পজেটিভ এনার্জি ভরে ওঠে।
১০) এই দিন কোনও মানুষ কিছু চাইতে আসলে তাকে খালি হাতে ফেরাবেন না।
১১) বাড়িতে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার একত্রে থাকা ছবি বা মূর্তি পুজো করুন।