সন্তোষী মা হলেন তিনি যিনি সবার মনের ইচ্ছা পূরণ করেন। হিন্দু প্রথা অনুযায়ী প্রতি শুক্রবার সন্তোষী মায়ের ব্রত উদযাপন করা উচিত। উত্তর ভারত, নেপালের মহিলারা সন্তোষী প্রধানত দেবীর পুজো করে থাকেন। তবে এই ব্রত এখন অনেকেই পালন করেন। বাঙালি ঘরে ঘরেও পূজিতা হন এই দেবী। হিন্দু ধর্ম অনুসারে সপ্তাহের সাত দিনের এক একটি দিন এক একজন দেবতার নামে উত্সর্গীকৃত। শুক্রবার দিনটি সন্তোষী মায়ের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। সন্তোষী মায়ের ব্রত পালন করলে জীবনের অনেক দুখ কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে ভক্তদের বিশ্বাস।
সন্তোষী মা নিয়ে একাধিক কিংবদন্তি প্রচলিত আছে। তবে একটি কাহিনী বলছে,পৌরাণিক মতে তিনি গণেশের কন্যা। একবার গণেশের দুই ছেলে শুভ আর লাভের ইচ্ছে হল বোনের হাতে রাখী পরবেন। কিন্তু গণেশের কোনও কন্যা ছিল না। পুত্রদের মনোবাসনা পূর্ণ করতে এক কন্যার সৃষ্টি করলেন গণেশ। তাঁর হাতে রাখী পরলেন শুভ আর লাভ। দাদাদের মনের ইচ্ছে পূর্ণ করলেন বলে তাঁর নাম হল সন্তোষী। এই দেবী পূজিতা হন দুর্গার অবতার রূপেও । ভক্তের মনোকামনা পূর্ণ করে সন্তুষ্টি দেন তিনি। তাই তাঁর নাম সন্তোষী। দেবীর জন্ম হয়েছিল শুক্রবারের পূর্ণিমা তিথিতে। তাই সন্তোষী মায়ের পুজোর জন্য শুক্রবার দিনটি শ্রেষ্ঠ। ইনি চতুর্ভুজা ও রক্তবস্ত্র পরিহিতা। নিজের চারটি হাতের দুটিতে ত্রিশূল, ও তলোয়ার ধারণ করেন। বাকি দুটি হাতে বরাভয় ও সংহার মুদ্রা ধারণ করেন।