খবরে আমরাঃ পাসপোর্ট (Passport) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি। শুধুমাত্র বিমানে চেপে বিদেশ যাওয়াই নয় পাসপোর্টে নাগরিকত্বের সবথেকে বড় প্রমাণপত্র। তাই এই সময়ে পাসপোর্ট থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে বর্তমানে প্রযুক্তির অগ্রগতি যখন আমাদের সব কাজই অনেক সহজ করে দিচ্ছে তবে পাসপোর্টই বা বাদ যাবে কেন? বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারে ঘোষণাতে পাসপোর্টের ক্ষেত্রেও প্রযুক্তি ব্যবহারের ইঙ্গিত মিলেছে। কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরণ ( Union Minister of State for External Affairs V Muraleedharan) জানিয়েছেন ২০২২-২৩ থেকে দেশের নাগরিকদের ই-পাসপোর্ট দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যসভাতে মুরলীধরণকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে ২০২২ থেকেই কি ই-পাসপোর্ট চালু হবে? প্রশ্নের উত্তরে সরকারের পরিকল্পানার কথা জানিয়েছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী।
বিদেশ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, কাগজ ও ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট সম্মিলিতভাবে ই-পাসপোর্টে থাকবে। এই অত্যাধুনিক পাসপোর্টে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশ বা আরএফআইডি চিপ বসানো থাকবে। পাসপোর্টের ব্যাক কভারে একটি অ্যান্টেনাও বসানো থাকবে বলেই জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “পাসপোর্টের ডাটা পেজে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি মুদ্রিত থাকবে এবং ওই চিপে সব তথ্য জমা হবে। নথি এবং চিপের বৈশিষ্ট্যগুলি ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (ICAO) নথি ৯৩০৩-এ উল্লেখ করা হয়েছে”
মুরলধীরণ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে ন্যাশানাল ইনফর্মেটিক্স সেন্টারকে যাবতীয় প্রযুক্তিগত বিষয় গুলি দেখা ও নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারাই সব দিক খতিয়ে দেখে ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা প্রক্রিয়া নির্ধারণ করবে। মুরলীধরণ জানিয়েছেন নাসিকের ইন্ডিয়া সিকিউরিটি প্রেস ই-পাসপোর্ট প্রস্তুত করবে। সেইমত এই সংস্থার তরফে অপারেটিং সিস্টেম সহ 4.5 কোটি আইসিএও-সম্মত ইলেকট্রনিক চিপ সংগ্রহের জন্য অভিপ্রায় পত্র জারি করা হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন কেন্দ্রের তরফে এই ই-পাসপোর্ট চালু হলে ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি এবং ব্যবহারের সম্ভাবনাও কমবে।