www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

December 3, 2024 5:50 pm

খবরে আমরাঃ সংখ্যালঘু। ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দটি অতি পরিচিত এবং চর্চিত। দেশের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নির্ধারিত হয় এই সংখ্যালঘু ভোটের উপর। কিন্তু দেশের ঠিক কত শতাংশ মানুষ সংখ্যালঘু (Minority Community)? কাদের কাদের সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া হয়? এ প্রশ্নের চমকপ্রদ উত্তর দিল সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক।

সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আছে মোটে ছ’টি। কিন্তু সর্বশেষ জনগণনা অনুযায়ী এই ছ’টি সম্প্রদায় মিলিয়েই দেশের মোট জনসংখ্যার ১৯ শতাংশেরও বেশি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের প্রতি ১ হাজার জনসংখ্যার ১৯৩ জন কোনও না কোনও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সদস্য। এর মধ্যে শুধু মুসলিমের (Muslim) সংখ্যাই ১৪৩ জন। অর্থাৎ দেশের মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশের বেশি মুসলিম। ভারতে মুসলিমের সংখ্যাটা বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম প্রধান দেশের থেকে বেশি। শুধুমাত্র ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানেই ভারতের থেকে বেশি মুসলিম বসবাস করেন। ভারতের সব মুসলিম যদি আলাদা একটি দেশে বসবাস করতেন, তাহলে সেই দেশটি বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম দেশ হত। সংখ্যালঘুদের মধ্যে ক্ষুদ্রতম জনগোষ্ঠী পার্সি। ভারতের প্রতি ১ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র ৬ জন পার্সি।

অনেক সময় একটা প্রশ্ন ভেসে আসে, দেশের এই বিরাট সংখ্যক মানুষকে সংখ্যালঘু তকমা দেওয়াটা কতটা যুক্তিযুক্ত? তাছাড়া সব রাজ্যে তো মুসলিমা বা খ্রিস্টানরা সংখ্যালঘু নন। তাহলে রাজ্যের ভিত্তিতে আলাদা আলাদা সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া হবে না কেন? এ প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে সংবিধানেই। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু তকমা দিতে পারে শুধুমাত্র কেন্দ্র সরকার। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রকে দেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংখ্যালঘু তকমা দিতে হয়। তাই অনেক রাজ্যে হিন্দুরা (Hindu) সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও তারা সংখ্যালঘু তকমা বা সংখ্যালঘু হওয়ার সুবিধা পায় না।

যদিও এই পদ্ধতি দ্রুত পালটাতে পারে। গত সপ্তাহে এক জনস্বার্থ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী দিনে রাজ্যগুলিকে আলাদা করে সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র। সেটা যদি হয়, তাহলে রাজ্যগুলি

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *