পাকিস্তানপন্থী উগ্রপন্থীরা ক্রমাগত বাংলাদেশের প্রশাসনের মধ্যে ঢুকে পড়ছে। এমন কি কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা নিয়ন্ত্রণ করছে সরকারকে। গত আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং নোবেল বিজয়ী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার পর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের তীব্র অবনতির প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের এই মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন থামাতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য ভারত এর আগেও বহুবার ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করেছে। সাম্প্রতিককালে অবশ্য ইউনুসের বাংলাদেশে পরিস্থিতির কোনও উন্নতি ঘটেনি। এর আগে বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক নিবাস ভাঙচুরের নিন্দা জানিয়েছিল ভারত। আর এবার ঢাকার দুর্গা মন্দির ধ্বংসের জন্য বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছেন। ঢাকায় মন্দির ভাঙার ঘটনা নিয়ে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, আমরা বুঝতে পারছি, চরমপন্থীরা ঢাকার খিলক্ষেতে দুর্গা মন্দির ভাঙার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মন্দিরকে নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে এই ঘটনাটিকে অবৈধ জমি ব্যবহার বলে প্রচার করেছিল… এবং আজ (বৃহস্পতিবার) মন্দির ধ্বংসের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এর ফলে প্রতিমা স্থানান্তরিত হওয়ার আগেই মন্জদির ভেঙে সেটির ক্ষতি করা হয়েছে। বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে আমরা মর্মাহত। বাংলাদেশি হিন্দু, তাদের সম্পত্তি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বের উপর জোর দিয়েছেন রণধীর জয়সওয়াল। উল্লেখ্য, ইউনুস জমানায় সেই দেশের সংখ্যালঘুরা ক্রমেই অত্যাচারিত হচ্ছে।