এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে ‘জিন’গত একটা সম্পর্ক আছে বলেই চিকিৎসকেরা মনে করেন। এটা ধরার জন্য আলট্রাসোনোগ্রাফি ছাড়া বিকল্প নেই। এবারের ঘটনাও তাই। মহিলার আলট্রাসোনোগ্রাফির চিত্র দেখে চক্ষু বিস্ফারিত ডাক্তারদের। কার্যত বাকরুদ্ধ অন্তঃসত্ত্বাও। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ২০০টি এই রকম ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ১৫-২০টি কেস ভারতের। সেই তালিকায় যুক্ত হল মহারাষ্ট্রের নাম। এর সঙ্গে প্রাকৃতিক কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে।
মহারাষ্ট্রের বুলধানার সরকারি মহিলা হাসপাতালে আলট্রাসোনোগ্রাফি করাতে যান ৩২ বছর বয়সি ওই গর্ভবতী। যিনি ৩৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। রুটিন অনুযায়ী, শারীরিক পরীক্ষা করেন তিনি। স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার প্রসাদ আগরওয়াল আলট্রাসোনোগ্রাফি করছিলেন। তখনই নজরে আসে মহিলার পেটে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা ভ্রুণের মধ্যে রয়েছে আরও একটি ভ্রুণ! বিষয়টি নিশ্চিত করতে কয়েকবার পরীক্ষা করেন তিনি। চিত্র একই আসে। প্রসাদ আগরওয়াল জানান, “এই ঘটনাকে ডাক্তারি পরিভাষায় ‘ফিটাস ইন ফিটু’ বলা হয়। এটি পাঁচ লাখ গর্ভবতী মহিলার মধ্যে একজনের হয়। বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা।”ভ্রুণের মধ্যে আরও একটি ভ্রুণ রয়েছে নিশ্চিত হওয়ার পরই মহিলাকে সম্ভাজিনগর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে। মহিলার অপারেশনের সমস্ত ব্যবস্থা তৈরি রাখা হচ্ছে।