খবরে আমরাঃ ভাবা যায়। এত পরম পড়েছে যে ছাত্র-যুবরা মন দিয়েছে বিয়ারে। কোল্ড ড্রিংক্সের জমানা বোধ হয় শেষ হয়ে গেল। তাই বঙ্গবাসীর মন মজেছে বিয়ারে।
তাই মদ বিক্রিতে আগেই রেকর্ড গড়েছে রাজ্য। এবার চিলড বা ঠান্ডা কনকনে বিয়ার বিক্রিতেও রেকর্ড গড়ল বাংলা। আবগারি দপ্তর সূত্রে খবর, গত দু’মাসে প্রায় ৪৫ লক্ষ কেস চিলড বিয়ার বিক্রি হয়েছে রাজ্যে। যার আর্থিক মূল্য কয়েক শো কোটি টাকা।
গত দু’মাস তীব্র গরমের সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। আর এমন আবহাওয়ায় সুরাপ্রেমীদের প্রথম পছন্দ ঠান্ডা বিয়ার। সেই চাহিদা মিটিয়েই রাজ্যের লক্ষ্মীলাভ ঘটেছে। কোষাগারে এসেছে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা। সাম্প্রতিক কালে রাজ্যে বিয়ার (Beer) বিক্রিতে এমন রেকর্ড হয়নি বলেই দাবি করছে আবগারি দপ্তরের কর্তারা। মে মাসের শুরু থেকেই রাজ্যের তাপমাত্রা ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ফলে বিয়ারের চাহিদা যে বাড়বে তা বোঝা গিয়েছিল বিলক্ষণ। কিন্তু সেই চাহিদা যে আকাশ ছোঁবে তা কে জানত!
এপ্রিলের শেষ থেকে কিন্তু ছবিটা অন্যরকম ছিল। রাজ্যে বিয়ারের রীতিমতো আকাল পড়েছিল। হিসেব বলছে, রাজ্যে বিয়ারের অফ শপ রয়েছে মোট সাড়ে চার হাজার। সেই সময় বিয়ারের অফ শপের বাইরে রীতিমতো ‘বিয়ার নেই’ বোর্ড পড়েছিল। জোগান কম থাকায় প্রতিটি দোকানে নির্দিষ্ট পরিয়াম বিয়ার সরবরাহ করছিল রাজ্য সরকার। পরে সেই ছবি বদলায়। আর বিয়ার বিক্রি করে রেকর্ড আয় করল রাজ্য।
গত চার বছরে বিয়ার বিক্রি করে এত মুনাফা রাজ্যের কোষাগারে কখনওই আসেনি বলেই দাবি সরকারি আধিকারিকদের। ২০১৯ সালে বিয়ার বিক্রি বেশি থাকলেও এত বিপুল অঙ্কে পৌঁছয়নি আয়। দপ্তর সূত্রে খবর, এবারের সংকটের প্রেক্ষিতে রাজ্যে বিয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটগুলির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজ্য একাধিক ডোমেস্টিক বিয়ার তৈরির ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট রয়েছে। গত দু’মাসের অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটের যে জোগান রয়েছে, তার তুলনায় অধিক চাহিদা রয়েছে। সম্প্রতি এপ্রিল মাসেও একটি সংস্থা ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট করেছে।