www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 27, 2024 10:23 am

‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখার জন্য সরকারি কর্মচারীদের অর্ধদিবস সবেতন ছুটি দিয়েছিলেন। নিজেও মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সিনেমাটি দেখে এসেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এবার ফের বিতর্ক উস্কে দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, মুসলিমরা অসমের মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ এবং উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে তাদের আর সংখ্যালঘু হিসাবে বিবেচনা করা যাবে না। এর পাশাপাশি ১৯৯০ সালের কাশ্মীরি হিন্দুদের পরিস্থিতির কথাও স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, দ্য কাশ্মীর ফাইলস সিনেমায় যা দেখানো হয়েছে, এমন ঘটনা অসমেও হতে পারে – এই ভয় অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের মন থকে দূর করা এ রাজ্যের “মুসলিমদের কর্তৃব্য”।

অসম বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে বিতর্কের সময় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “আজ মুসলিম সম্প্রদায়ের থেকে বিরোধী দলের নেতা ও বিধায়করা রয়েছেন। তাঁদেরও সমান সুযোগ এবং ক্ষমতা রয়েছে। তাই, এটি নিশ্চিত করা তাঁদের কর্তব্য। আদিবাসীদের অধিকার যাতে সুরক্ষিত থাকে এবং তাদের জমি যেন দখল করা হয় না। ষষ্ঠ তফসিল এলাকায় বসবাসকারী আদিবাসীদের জমি দখল করার প্রয়োজন নেই। যদি বোরা এবং কলিতা (অসমিয়া উপাধি) সেই জমিতে বসতি স্থাপন না করে, তাহলে ইসলাম এবং রহমানকেও (মুসলিম উপাধি) সেই জমিতে বসতি স্থাপন থেকে বিরত থাকতে হবে।”

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “ক্ষমতা সঙ্গে আসে দায়িত্ব। যেহেতু মুসলিমরা অসমের জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ, তাই এখানে সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা তাদের কর্তব্য”। তাঁর সংযোজন, “অসমিয়া আম জনতার ভয়ের মধ্যে রয়েছে। সংস্কৃতি এবং সভ্যতা নিয়ে ভয় রয়েছে। সম্প্রীতি ব্যবস্থাটি দুই দিক থেকেই থাকতে হবে। মুসলিমরা সংস্কৃতি রক্ষা করার কথা বলুক…সম্প্রীতি হবে। দশ বছর আগে, আমরা সংখ্যালঘু ছিলাম না কিন্তু এখন আমরা সেই জায়গায় এসে গিয়েছি।” সেই সঙ্গে ‘দ্য কাশ্মীরি ফাইলস’-এর প্রসঙ্গে উস্কে দিতে তিনি বলেন,”লোকেরা আমাকে জিজ্ঞাসা করে যে অসমিয়ারা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মতো একই পরিণতির মুখোমুখি হবে কি না? দ্য কাশ্মীর ফাইলস সিনেমাট যেমন দেখানো হয়েছে, দশ বছর পরে, অসমেও কি সেই জিনিস হবে? আম জনতার মন থেকে সেই ভয় দূর করা মুসলিমদের কর্তব্য। মুসলিমদের অবশ্যই নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করতে রবে। আমাদের আশ্বাস দিতে হবে যে এখানে কাশ্মীরের পুনরাবৃত্তি হবে না।”

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *