শাশ্বতী চ্যাটার্জি:: দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অদূরেই হিন্দুদের এক মহা তীর্থকেন্দ্র আদ্যাপীঠ মন্দির।এই মন্দিরে নিয়মিত হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে।
শোনা যায়,ঠাকুর রামকৃষ্ণদেবের এক শিষ্য চট্টগ্রামের আনন্দ ঠাকুরকে স্বয়ং রামকৃষ্ণ বলেন,ইডেন গার্ডেনের ঝিলে দেবী আদ্যাশক্তি অনেকদিন ধরে পরে আছে, তাকে তুলে এনে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অনেক খোঁজা খুঁজির পরে আনন্দ ঠাকুর ওই ঝিলে ১৮ ইঞ্চির আদ্যাশক্তি মহামায়ার একটি কোষ্ঠী পাথরের মূর্তি পান।
এরপরে আনন্দ ঠাকুর ঋষিকেস চলে গেলে রামকৃষ্ণের অন্যান্য ভক্তদের উদ্যোগে ধীরে ধীরে মন্দির নির্মাণ শুরু হয়।আদেশ ছিল ১২ বছরের মধ্যে মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু তা হয় না।তাই নিয়ম অনুযাই কোনো ভক্ত মন্দিরের মূল গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারে না।নাট মন্দিরে দাঁড়িয়ে মূর্তি দর্শন করতে হয়।এখানে মূর্তির স্থাপনের মধ্যেই আছে বৈচিত্র। ত্রিমূর্তির একেবারে উপরে রাধাকৃষ্ণ, তার নিচে আদ্যাশক্তি মহামায়া আর একদম নিচ্ছে ঠাকুর রামকৃষ্ণ দেবের মূর্তি।
দক্ষিনেস্বরের মন্দিরে কামারপুকুরের গদাধর সারা জীবন কাটিয়ে গেছেন।আর স্বয়ং রামকৃষ্ণের উদ্যোগে ও আদেশে গড়ে উঠেছে আদ্যাপীঠ মন্দির।
প্রথা অনুযাই প্রতিদিন রাধাকৃষ্ণকে ৩৩ সের চালের অন্ন,মহামায়াকে ২২সের চালের অন্ন আর রামকৃষ্ণ কে সাড়ে ১২ সের চালের অন্ন নিবেদন করা হয়।
এই মন্দিরের স্থাপত্য কলা অসাধারন।মূল মন্দিরের চূড়ায় সর্ন ধর্মের সমন্বয়ের প্রতীক আছে।