শ্রীশ্রী ঠাকুর বালক ব্রহ্মচারীর জীবনের এক মহান দর্শন ৷ মস্তিষ্ক শীতল ও হৃদয়কে উষ্ণ করে ৷ রাম নারায়ণ রাম এই অমোঘ মন্ত্রে জীবনের সব কষ্ট যেন লাঘব হয়ে থাকে ৷ এই মহান মন্ত্রেই লুকিয়ে রয়েছে বাঁচার রসদ ৷ আসলে এই রাম নারায়ণ রাম শ্রী চৈতন্যদেবকে প্রণাম জানানো এক মন্ত্র ৷ তিনি ভক্তদের বলেছেন জীবনের লক্ষই ভালবাবে বাঁচা, আনন্দে বাঁচা ৷ মানুষকে আনন্দে বাঁচার রাস্তা দেখাতেই আবির্ভাব হয়েছিলেন স্বয়ং বালক ব্রহ্মচারী।
৯ নভেম্বর ১৯২০ সালে ( ১৩২৭ বঙ্গাব্দের ২৩ কার্তিক) ঢাকার বিক্রমপুরে জন্মেছিলেন ৷ তাঁর আসল নাম বীরেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্তী কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায় তাঁকে শ্রীশ্রী ঠাকুর বালক ব্রহ্মচারীতে পরিণত করেছিল ৷ শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর মা শচীদেবী এবং শ্রীশ্রী বালক ব্রহ্মচারী একই পরিবারের ৷ শ্রীশ্রী ঠাকুর এক আলাদা সত্তা নিয়েই পৃথিবীতে এসেছিলেন ৷ তাঁর মানবপ্রেম, ধ্রমীয় উদারতা, সততা ছোটবেলা থেকেই জাগ্রত ৷ সমাজের সর্ব বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষ তাঁর মহান আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন ৷ মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করার কথাই বারবার বলে এসেছেন ৷ মানবপ্রেমে জীবন রাঙানোর কথাই তিনি বারবার বলে এসেছেন ৷ তা প্রমাণ করেছেন জীবন দিয়ে ৷