www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

June 17, 2025 10:21 pm

বাংলা ভাষায় মহাভারতের অনুবাদ অনেক কবি করলেই অবশ্যই শ্রেষ্ঠ অনুবাদক কবি কাশীরাম দাস। কবি কাশীরাম দাস বর্ধমান জেলার সিঙ্গি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।

বাংলা ভাষায় মহাভারতের অনুবাদ অনেক কবি করলেই অবশ্যই শ্রেষ্ঠ অনুবাদক কবি কাশীরাম দাস। কবি কাশীরাম দাস বর্ধমান জেলার সিঙ্গি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। আত্মকাহিনি সম্পর্কে কবি কাশীরাম দাস নিজেই বলেছেন,

ইন্দ্রাণী নামেতে দেশ পূর্বাপর স্থিতি।
দ্বাদশ তীর্থেতে যথা বৈসে ভাগীরথি।।
কায়স্থ কুলেতে জন্ম বাস সিঙ্গি গ্রাম।
প্রিয়ঙ্কর দাস পুত্র সুধাকর নাম।।
তৎপুত্র কমলাকান্ত কৃষ্ণদাস পিতা।
কৃষ্ণদাসানুজ গদাধর জৈষ্ঠ্য ভ্রাতা।।
পাঁচালি প্রকাশি কহে কাশীরাম দাস।
অলি হব কৃষ্ণপদ মনে অভিলাষ।।

এই গ্রাম এখনও আছে এবং এই গ্রামে কাশীরামের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলি আজও বর্তমান। তাঁরা দেব উপাধিধারী কায়স্থ। তাঁর পিতার নাম ছিল কমলাকান্ত। কবিরা ছিলেন তিন ভাই—কৃষ্ণরাম, কাশীরাম ও গদাধর। তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন কবি। অগ্রজ কৃষ্ণদাস শ্রীকৃষ্ণবিজয় এবং শ্রীমদ্ভাগবতপুরাণ অনুসরণে শ্রীকৃষ্ণবিলাস নামে কাব্য লেখেন।

কাশীরাম দাস সংস্কৃত ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন। তিনি অধুনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আবাসগড় বা আসিগড় বা আওসগড়ের জমিদার বাড়ির আশ্রয়ে থেকে শিক্ষকতা করতেন। কথিত আছে, উক্ত জমিদার বাড়িতে কথক ও সংস্কৃত পণ্ডিতদের মুখে মহাভারতের কাহিনী শুনে তিনি বাংলা ভাষায় মহাভারত অনুবাদে উদ্বুদ্ধ হন। গবেষকদের অনুমান, ভারত-পাঁচালী রচনা সমাপ্ত হয়েছিল ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগে কিংবা সপ্তদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে। তাদের আরও অনুমান, কাশীরাম দাস সম্পূর্ণ মহাভারত অনুবাদ করে যেতে পারেননি। আদি, সভা, বন ও বিরাট – এই চার পর্ব অনুবাদের পর তাঁর মৃত্যু হলে তার জামাই অবশিষ্টাংশ অনুবাদ করেন।
আদি, সভা, বন, বিরাটের কত দূর।ইহা রচি কাশীদাস গেলা স্বর্গপুর।।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *