এই মুহূর্তে বিশ্বের মহিলা মহলে বিশেষ একটি নাম অ্যালিস – যিনি হয়ে উঠেছেন বিশ্বজননী। আমেরিকার টেক্সাসের বাসিন্দা অ্যালিস ওগলট্রি এবার নিজেই নিজের রেকর্ড ভেঙে নাম তুললেন গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। সম্প্রতি ২৬৪৫.৫৮ লিটার মাতৃদুগ্ধ দান করেন বিশ্ব রেকর্ড করেছেন তিনি। এর আগে ২০১৪ সালে ১৫৬৯.৭৯ লিটার বুকের দুধ দান করে, রেকর্ড করেছিলেন অ্যালিস। অ্যালিসের এই অভিনব পদক্ষেপ কেবল তাঁকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি গড়ে দেয়নি, বরং অসংখ্য ‘প্রিম্যাচিউর'(সময় পূর্বেই জন্ম হয় যাঁদের) সন্তানের প্রাণ বাঁচিয়েছেন তিনি। তিনি মাতৃ রূপেণ। তিনি নিজেও বলেন, যে শিশুদের মাতৃ দুগ্ধর প্রয়োজন, সেই শিশুদের দুধ দিয়ে তিনি আনন্দ পান। অ্যালিসের কথায়,
“আমি অতিরিক্ত দুধ উৎপাদন করছিলাম এবং তা ফেলে দিচ্ছিলাম। যেখানে অন্যান্য মায়েদের দুধ উৎপাদন করতে সংগ্রাম করতে হত, সেখানে অজান্তেই আমি অতিরিক্ত উৎপাদন করছিলাম।” তার পর থেকেই তার মাথায় আসে এই দুধ অন্য শিশুদের দান করার কথা।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমাদের প্রথম সন্তান, কাইল তখন হাসপাতালে, অতিরিক্ত দুধ উৎপাদনের ফলে নার্সদের ফ্রিজার ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। তখন একজন নার্স প্রথম জিজ্ঞাসা করেন, আমি দুধ দান করবো কিনা? তখনই আমি প্রথম এটা সম্পর্কে জানতে পারি।” পরবর্তীকালে তাঁর আরও সন্তান হওয়ার সঙ্গে অ্যালিস মাতৃদুগ্ধ দান করাও চালু রাখেন। প্রত্যেক তিন-চার ঘণ্টা অন্তর তিনি পাম্প করে দুধ সংগ্রহ করতেন। মাদারস মিল্ক ব্যাঙ্ক অব নর্থ টেক্সাস’-এর দেওয়া তথ্য অনুসারে অ্যালিসের এই দান, বিশ্বব্যাপী প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ প্রিম্যাচিউরড শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছে। ধন্য অ্যালিস!তোমানে অনেক অভিনন্দন।