www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

July 7, 2025 1:08 am

মহামানব স্বামী বিবেকানন্দ প্রথম ১৮৯৩ সালে ভারতকে উপস্থিত করেন সমস্ত বিশ্বের কাছে।

মহামানব স্বামী বিবেকানন্দ প্রথম ১৮৯৩ সালে ভারতকে উপস্থিত করেন সমস্ত বিশ্বের কাছে। বিশ্বের বহু প্রান্তের মানুষ জানতে পারেন, চিনতে পারেন ভারতবর্ষকে। তিনি ছিলেন সেই যুগের নব জাগরনের প্রতিনিধি। ১৮৯৩ সালে শিকাগোতে অনুষ্ঠিত বিশ্বধর্ম মহাসম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দের বক্তৃতা বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এই বক্তৃতায় তিনি হিন্দুধর্ম এবং ভারতীয় দর্শনের সারমর্ম তুলে ধরেন এবং সহিষ্ণুতা ও বিশ্বভ্রাতৃত্বের বার্তা দেন। 

এখানে কিছু মূল বিষয় তুলে ধরা হলো:

  • শুভেচ্ছা:

বিবেকানন্দ তাঁর বক্তৃতা শুরু করেন “আমেরিকার ভাই ও বোনেরা” এই সম্বোধনে, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে। 

  • সহিষ্ণুতা ও সর্বজনীনতা:

তিনি বলেন, তিনি এমন একটি ধর্মের অন্তর্ভুক্ত হতে পেরে গর্বিত, যা বিশ্বকে সহিষ্ণুতা ও সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা শিখিয়েছে। তিনি আরও বলেন, তারা কেবল সহিষ্ণুতাতেই বিশ্বাস করে না, বরং সকল ধর্মকে সত্য হিসেবে গ্রহণ করে। 

  • ধর্মীয় বিভেদ দূরীকরণ:

বিবেকানন্দ সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা ও বিভেদের নিন্দা করেন এবংharmony ও শান্তি স্থাপনের আহ্বান জানান। 

  • হিন্দুধর্মের বার্তা:

তিনি হিন্দুধর্মের উদারতা এবং বিশ্বজনীনতার ধারণা তুলে ধরেন, যা সকলের জন্য প্রযোজ্য। 

  • ঐতিহাসিক প্রভাব:

এই বক্তৃতা শুধুমাত্র ধর্মীয় ক্ষেত্রে নয়, বরং আন্তঃসাংস্কৃতিক এবং আন্তঃধর্মীয় সংলাপের ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল। 

  • চূড়ান্ত আবেদন:

তার বক্তৃতার শেষে, তিনি সাহায্য ও সংঘাতের পরিবর্তে একতা ও শান্তির বার্তা দেন। 

বিবেকানন্দের এই বক্তৃতা বিশ্বজুড়ে আজও সমাদৃত এবং এটি ভারতীয় সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। 

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *