প্রেম একবার এসেছিল নীরবে। কিন্তু জীবনের চলার গতির বদল আর বাস্তুর গোলামালে সেটিও হারিয়ে যেতে বসেছে। পছন্দের মানুষটিকে কাছে পেতে চাইলেও কেমন দূরে সরে যাচ্ছে।
আসলে প্রেমের সম্পর্কে ভিত্তি হল পারস্পরিক ভালোবাসা, যত্ন ও শ্রদ্ধা। কিন্তু অনেক সময় সম্পর্কের ওপর সময়ের পলি জমে যায়। তার ফলে প্রেমের সম্পর্ক তার পুরনো মাধুর্য্য হারিয়ে ফেলে। এই অবস্থায় বাস্তুশাস্ত্র সহায়ক হতে পারে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বেডরুমে সামান্য কিছু অদল বদল করে প্রেমের সম্পর্কে হারানো টান ফিরিয়ে আনা যায়। দেখে নিন প্রেম জীবনকে আরও মধুর করে তুলতে বেডরুমের কয়েকটি সহজ বাস্তু টিপস।
* মাস্টার বেডরুমে খাট রাখুন হয় দক্ষিণ দিকে অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে। কিন্তু কখনোই এই দুই দিকের মাঝামাঝি বিছানা রাখবেন না। এর ফলে সম্পর্কে অবনতি দেখা যাবে।
* বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মাস্টার বেডরুম থাকলে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হয়।
* বেডরুম হবে আয়তাকার বা বর্গাকার। গোল বা অন্য কোনও আকারে বেডরুম না হওয়াই ভালো।
* ধাতু দিয়ে তৈরি খাট বেডরুমে রাখবেন না। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এবং স্বামী স্ত্রীর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। দুটো সিঙ্গল খাটকে জুড়ে ডাবল খাট বানাবেন না। একটাই বড় খাট বেডরুমে রাখুন। দুটো গদি একসঙ্গে জুড়েও খাটে পাতবেন না। এর ফলে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে ফাটল দেখা যায়।
* বেডরুমের দেওয়ালে হালকা গোলাপী বা পিচের মতো কোনও হালকা রং লাগান। তবে বিছানার চাদরে, বালিশে লাল রং ব্যবহার করতে পারেন। তবে এই লাল রং টানা রাখবেন না, কিছুদিন অন্তর পালটে দিন।
* বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী স্ত্রী স্বামীর বাঁ দিকে শোওয়া উচিত। এতে সম্পর্কের মধ্যে ভালোবাসা বাড়ে।
* খাটের দিকে মুখে করে কোনও আয়না কোনও মতেই বেডরুমে রাখা যাবে না। এর ফলে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি দেখা দেয়। আয়না যত বড় হবে, দাম্পত্য সম্পর্কে ফাটল তত বাড়বে। এর ফলে স্বাস্থ্যেও অবনতি হতে পারে।
* খেয়াল রাখবেন বেডরুমের উত্তর-পূর্ব কোণে যেন নোংরা আবর্জনা না থাকে। শোওয়ার ঘরের উত্তর দিকে সাদা ফুল রাখুন বা কোনও ইনডোর প্ল্যান্ট রাখতে পারেন।
* পজিটিভ এনার্জিধরে রাখতে শোওয়ার ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখুন।
* লাভ বার্ড বা লক্ষ্মী-নারায়ণের ছবি বেডরুমে রাখতে পারেন।
* মৃত ব্যক্তি ছবি বেডরুমে কখনোই রাখবেন না।
* শোওয়ার ঘরের দক্ষিণ-পশ্চিম দেওয়ালে রাখুন ফ্যামিলি ফটো এবং স্বামী-স্ত্রীর ছবি থাক ঘরের পশ্চিম দেওয়ালে।