রামায়ণ ভারতের আদি মহাকাব্য। এই মহাকাব্যের ব্যাপ্তি মহাভারতের মতো না হলেও মহাকবি বাল্মীকি প্রাণ ঢেলে সাজিয়েছেন এই কাব্য। এই কাব্যের উপকাহিনী প্রচুর, যার মধ্যে বেশ কিছু উপকাহিনী ও তথ্য হয়তো আমরা ভুলেও গেছি। তেমনই কয়েকটি ভুলে যাওয়া ঘটনা –
- হনুমান ছিলেন শিবের এক অবতার – অগ্নি দেবতা রাজা দশরথকে একটি বাটি পবিত্র মিষ্টান্ন দিয়েছিলেন যাতে তাদের শতপুত্র জন্ম নেয়। তখন একফোঁটা মিষ্টি অঞ্জনা যেখানে ধ্যান করছিলেন সেখানে পড়ে যায়। বাতাসের দেবতা পাভানা সেই মিষ্টি গ্রহণ করেন এবং এরপর তিনি হনুমানের জন্ম দেন। এইভাবে ভগবান শিব বানরের রূপে অবতীর্ণ হন।
- কেন রাবণ সীতাকে বিয়ের জন্য জোরাজুরি করেন নি – রাবণ তাঁর আকাঙ্খা মেটানোর জন্য খুব সহজেই মহিলাদের বশে আনতে পারতেন। এরপর রম্ভা তাকে অভিশাপ দেয় যে, এরপর কোনও মহিলার সম্মতি ছাড়াই রাবণ যদি সেই মহিলার শরীর স্পর্শ করেন তাহলে রাবণের মাথা তিন খন্ড হয়ে যাবে। যে কারণে তিনি সীতাকে জোর করেননি।
- মেঘনাথ ছিলেন লক্ষ্মণের জামাই – রাবণের পুত্র মেঘনাথ অভিশাপ পেয়েছিলেন সর্পদেবতাই তাঁকে হত্যা করবে। আর তাই ভাগ্যের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য, মেঘনাথ শেশনাগের কন্যা সুলোচনাকে বিয়ে করেছিলেন। মেঘনাথ ভেবেছিলেন যে শেশনাগ তার নিজের জামাইকে হত্যা করবে না। তবে যুদ্ধের সময় লক্ষণ তাঁকে হত্যা করেছিলেন।
- রামের মুকুটে সর্বদা একটি ময়ূরের পালক থাকে – জনকপুরের সয়ম্বর সভায় যখন রাম যান তখন তাঁর মা মুকুটে ওই ময়ূরের পালকটি লাগিয়ে দিয়েছিলেন। কথিত আছে রাম যখন বনে ফুল সংগ্রহে যান তখন ওই পালকের ঔজ্বল্যই সীতার নজর কেড়েছিল। বিয়ের পর সীতা রামকে বলেছিলেন, তিনি চান রামের মুকুটে এরকম একাধিক ময়ূরের পালক থাকুক। কিন্তু রাম তখন রাজি হননি। সীতা তখন বলেছিলেন, পরজন্মে রামকে তিনি শ্রীকৃষ্ণের অবতারে দেখতে চান। রাম তাতে রাজি হন এবং বলেন তখন তাঁর মুকুট তৈরি হবে ময়ূরের পালকেই।