স্পষ্ট উত্তর – হ্যাঁ। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আরও একটা মহাদেশ জন্ম নিতে চলেছে পৃথিবীতে। বিষয়টা একটু পরিষ্কার করা যাক। পৃথিবী পৃষ্ঠের নীচে চলছে নাটকীয় রূপান্তর। আমি-আপনি হয়তো উপরে বসে তা বুঝতেও পারছি না। কিন্তু রোজ একটু একটু করে সরে যাচ্ছে পায়ের তলায় মাটি। এই ঘটনার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে আফ্রিকা এবং সেখানকার বাসিন্দারা। পূর্ব আফ্রিকান রিফ্টে, হাজার হাজার কিলোমিটার প্রসারিত একটি বিশাল ফাটল দেখা গিয়েছে। যা আফ্রিকাকে দুটি ভাগে ভাগ করে দিচ্ছে। দুটি দিকে সরে যাচ্ছে টেকটনিক প্লেট। ফলে পৃথিবীর মানচিত্রও বদলে যাবে এটাই স্বাভাবিক। প্রশ্ন কবে তা হতে পারে। এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা যায় না।
তবে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয়টি হল, এই ভূ-ভাগ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যাওয়ার গতি। যা দেখে রীতিমত চমকে যাচ্ছেন ভূ-বিজ্ঞানীরাও। প্রাথমিক অনুমান ছিল এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে সময় লাগবে প্রায় কয়েক মিলিয়ন বছর। কিন্তু বর্তমানে যে গতিতে ঘটনাটি ঘটছে তাতে তার থেকে অনেক আগেই বদলে যাবে পৃথিবীর মানচিত্র বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ভূ-বিজ্ঞানীদের মতে মাত্র ১ মিলিয়ন বছরের মধ্যে বা তার আগেই তৈরি হবে নতুন মহাসাগর। এই আবিষ্কারটি কেবল একটি ভূতাত্ত্বিক বিস্ময় নয় বরং গতিশীল শক্তিগুলির একটি আভাস যা ক্রমাগত পৃথিবীর পুনর্নির্মাণকে নির্দেশ করে।