www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

May 4, 2024 5:54 pm
ketu

কেতুকে (Ketu) ভাইরাসজনিত রোগের সঙ্গেও সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। নতুন বছরে, বিভিন্ন রোগের কারণে বিশ্বস্তরে মানুষ ও সম্পদের প্রচুর ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, ২০২৩ সালকে শুভ করতে, জ্যোতিষশাস্ত্রে সমস্ত রাশির জন্য কিছু প্রতিকার দেওয়া হয়েছে। এই টোটকায় জীবনে সুখ এবং সমৃদ্ধি আনবে, শুধু তাই নয়, কেতুর অশুভ প্রভাব থেকেও মুক্তি পাবে।

নতুন বছরে প্রায় সকলের জীবনের সাংসারিক-ব্যক্তিগত জীবন বা শারিরীক সমস্যায় সংকট নামতে চলেছে। লুকিয়ে থাকা গুপ্ত শত্রুর হানায় জীবন আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। এমনিতেই রাহুর মেষে অবস্থানে সমস্যা রয়েছে প্রায় সব রাশিচক্রেই। তার উপর এই কেতুর দাপটে বিপাকে পড়ছেন সকলেই। (Spiritual)

তবে সবার প্রায় একই প্রশ্ন, এ বছরটি কেমন যাবে? ২০২৩। যোগ করলে ৭ হয়। তাই নতুন বছরের সালের সংখ্যা হচ্ছে ৭। সংখ্যাতত্ত্বে ৭ নম্বরের অধিপতি কেতু। কেতুর কারণে নতুন বছর খুব অদ্ভুত, বিচিত্র হতে পারে। নতুন বছরে কেতুর কারণে এমন কিছু ঘটনা ঘটতে পারে, যা সবাইকে অবাক করে দিতে পারে। আকস্মিক কোনও ঘটনার কারণে নিজের কাছেই চমকে উঠবেন। (Astrology)

কেতুকে (Ketu) ভাইরাসজনিত রোগের সঙ্গেও সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। নতুন বছরে, বিভিন্ন রোগের কারণে বিশ্বস্তরে মানুষ ও সম্পদের প্রচুর ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, ২০২৩ সালকে শুভ করতে, জ্যোতিষশাস্ত্রে সমস্ত রাশির জন্য কিছু প্রতিকার দেওয়া হয়েছে। এই টোটকায় জীবনে সুখ এবং সমৃদ্ধি আনবে, শুধু তাই নয়, কেতুর অশুভ প্রভাব থেকেও মুক্তি পাবে।

এই মন্ত্রটি জপ করুন: নতুন বছরকে শুভ করতে, প্রতিদিন সর্পের উপর নাচতে থাকা ভগবান কৃষ্ণের মূর্তি (Sri Krishna) দেখুন ও পুজো করুন। পুজো করার সময় ‘ওম নমো: ভগবতে বাসুদেবায় নমঃ’ মন্ত্রটি জপ করতে পারেন। এর বীজ মন্ত্রও জপ করুন। এই টোটকা মেনে চললে আপনি নতুন বছরের সমস্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তি পাবেন।

কাল ভৈরবের পুজো করুন: নতুন বছরে লাভের মুখ দেখতে ও কেতুর অশুভ প্রভাব এড়াতে কাল ভৈরবের পুজো করতে পারেন। একটি কলা পাতায় ভাত নিবেদন করুন ও শ্রী ভৈরব চালিসা পাঠ করুন। সেই সঙ্গে অশ্বত্থ গাছকে প্রদক্ষিণ করে সর্পের পুজো করুন। এই প্রতিকারে কেতুকে শান্তি রাখতে সাহায্য করবে। তার কারণে এবং জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে।

জীবনে সুখ ও শান্তি বজায় থাকবে: নতুন বছরে লাভের মুখ দেখতে বছরের প্রথম দিনে অশ্বত্থ গাছ পুড়িয়ে দিন। এর নীচে কুকুরকে মিষ্টি রুটি খাওয়ান। এর সঙ্গে প্রতিদিন গণেশের পুজো করুন। ২১টি দূর্বা অর্ঘ্য হিসেবে নিবেদন করুন। পুজোর পর গণেশ দ্বাদশ নামক স্তোত্র পাঠ করুন, এতে কেতু শান্ত থাকে এবং জীবনে উন্নতির নতুন পথ প্রশস্ত হয়।

কেতু একটি ছায়া গ্রহ, যা শুধুমাত্র রোগ -অসুখের (Health) আকারে তার প্রভাব দেখায়। নতুন বছরে অশুভ শক্তির প্রভাব এড়াতে কুকুরকে রুটি খাওয়ান। গরুকে সবুজ ঘাস খাওয়ান। যদি কোনও ব্যক্তি কুকুরের যত্ন নেন তবে এটি আরও ভাল ফল পাবেন। এতে করে কেতু ঘরে শান্ত থাকে ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্কে উন্নতি হয়।

নতুন বছরকে শুভ ও লাভজনক করতে লেবু, ছুরি, আমলকির আচার, আমচুর, সপ্তাধ্য শাস্ত্র, তিল ইত্যাদি দান করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এর পাশাপাশি বাড়ির বড়দের সেবা করা ও ধ্যান করাতেও কেতুর শুভ প্রভাব রয়েছে।

কেতুকে শান্ত করতে ও জীবনে সুখ- সমৃদ্ধি আনতে, নতুন বছরের প্রথম মঙ্গলবার থেকে চতুর্থ মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রবাহিত জলে ৮ টুকরো কয়লা ভাসিয়ে দিন। এর সঙ্গে পিঁপড়ের জন্য ময়দা দিতে পারেন। কুষ্ঠরোগী, দৃষ্টিহীন ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের বস্ত্রদান করুন।এর মাধ্যমে জীবনের প্রতিটি বাধা দূর হবে, যাতে আপনি কেতুর মাধ্যমে জীবনের সমস্ত উচ্চতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।

বছরের প্রথম দিনে গ্রহণ যোগও তৈরি হচ্ছে। তাই বছরের প্রথম দিনে অশ্বগন্ধা গাছ লাগাতে পারেন। বাদামী রঙের বস্ত্র পরিধান করে কালো তিল দান করুন। এছাড়াও, মন্দিরে গিয়ে পতাকা উত্তোলন করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এতে করে গ্রহণ যোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নতুন বছরেই ভাগ্য আপনার সঙ্গে থাকে, যার কারণে কর্মজীবনে অগ্রগতি হয়।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *