বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা এ বছর দিল্লিতে একাধিক দুর্গা পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। স্বাভাবিক কারণেই এই নিয়ে তাঁর সমালোচনাও কম হয় নি। সোমবার এক অনুষ্ঠানে তসলিমা এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন যে, তিনি একজন নাস্তিক মানুষ। কিন্তু অন্য ধর্ম পালনে বিশ্বাসী। ফেসবুক পোস্টে তসলিমা লেখেন, “হ্যাঁ আমি নাস্তিক, নাস্তিক হয়েও আমি হিন্দুদের পুজোয় যাই। যাই, কারণ অত্যন্ত শ্রদ্ধাভরে আমাকে তারা আমন্ত্রণ জানায় । পুজোর অনুষ্ঠানে আমি বলি, ‘আমি নাস্তিক, আমি হিন্দু নই, আমি হিন্দু, ক্রিস্টান, বৌদ্ধ, ইহুদি, ইসলাম কোনও ধর্মেই বিশ্বাস করি না।’তিনি আরও বলেন,’আমি প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজোর উদ্বোধন করি। নিজে ধর্ম পালন না করলেও অন্যের ধর্ম পালনের অধিকারে আমি বিশ্বাস করি।’
ইতিমধ্যে এই ধর্মাচরণ নিয়ে তিনি বার বার মুখর হয়েছেন। বিশেষ করে একজন নারীবাদী হিসেবে করভা চৌত, সিঁদুর খেলা, শাঁখা সিঁদুরের সমালোচনা করেন। কিন্তু এ কারণে হিন্দুরা তাঁকে বহিষ্কার করেনি, ঘৃণা করেনি বা মুণ্ডু কেটে নেওয়ার ফতোয়া দেয়নি বলেই উল্লেখ করেন ফেসবুক পোস্টে। স্বাভাবিক কারণেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে হিন্দু ধর্মের উদারতাকে তিনি ভালোবাসেন।এই প্রসঙ্গে তিনি একহাত নেন ইসলাম ধর্মের কিছু পুরুষের বিরুদ্ধে।বলেন,’আমাকে ধিক্কার দিচ্ছে হিন্দুদের পুজোয় যাই বলে, তারা কি হিন্দুদের মতো উদার হতে পারবে? পারবে আমাকে, এক নাস্তিককে, যে ধর্মবিশ্বাসী নয়, যে অন্য ধর্মের মতো ইসলামেরও সমালোচনা করে, তাকে দিয়ে মসজিদের উদ্বোধন করাতে? পারবে আমাকে মসজিদের ইমাম বানাতে যার পেছনে দাঁড়িয়ে পুরুষেরা নামাজ পড়বে? আমাকে কি পুরুষেরা যে মিলাদে উপস্থিত থাকে, সেই মিলাদ পড়াতে দেবে ?’ স্বাভাবিক কারণেই মুসলিম জগতের ক্ষোভ আরও তীব্র হচ্ছে তসলিমার বিরুদ্ধে।