প্রথাগতভাবে আমরা জানি যে ৯টি গ্রহকে কেন্দ্র করেই আমাদের জীবন ঘুরে চলেছে। সেই ৯টি গ্রহর হাত থেকে মানুষকে বাঁচায় ৯টি রত্ন – যাকে জ্যোতিষ শাস্ত্রে ‘নবরত্ন’ বলা হয়।
জ্যোতিবিদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন রত্ন ধারণ করলে বিভিন্ন গ্রহের অশুভ দশা কাটিয়ে ওঠা যায়। তবে এই নবরত্ন ছাড়াও আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রত্নের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই রত্নগুলি সঠিক হাতে পরলে ফকিরকে রাজা বানানো যায়। তবে তুলনামূলকভাবে কম দামের রত্ন হলো – ‘মুক্তো’। এই মুক্ত মানুষের উপর অনেক শুভ প্রভাব বিস্তার করে বলেই ভারতীয় জ্যোতিষ মনে করে। সাদা বা ক্রিম রঙের মুক্তো চাঁদের উপর প্রভাব বিস্তার করে। এর শান্ত স্বচ্ছ আভা ঠিক যেন চাঁদের মতোই সুন্দর। কারোর জন্মছকে চন্দ্র দুর্বল থাকলে তাঁকে মুক্তো ধারণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
মুক্তো ধারণ করলে খুলে যেতে পারে আপনার ভাগ্য। জ্যোতিরা বলছেন –
- জ্যোতিষ অনুসারে আমাদের মন ও মস্তিষ্কের উপর প্রভাব বিস্তার করে চাঁদ। তাই মন শান্ত রাখতে ও উদ্বেগ কমাতে মুক্তো ধারণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আবার যাঁরা অল্পেই রেগে যান বা সামান্য কারণেই অবসাদে ডুবে যান, তাঁদের জন্যও মুক্তো ধারণ করা উপকারী।
- পরিবারের কোনও সদস্য, বিশেষত মহিলা ও বয়স্করা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়লে পূর্ণিমার দিনে চালের ওপর মুক্তো রেখে বাড়িতে ব্রাহ্মণ ডেকে দান করুন। এর ফলে পরিবারের সদস্যদের অসুখ সেরে যাবে বলে বিশ্বাস।
- আর্থিক অভাবের থেকে মুক্তি পেতে দুটি মুক্তোকে হলুদ কাপড়ে বেঁধে ঠাকুরঘরে রেখে দিন। এর ফলে লক্ষ্মীর আশীর্বাদে আর্থিক সমৃদ্ধি লাভ করা যায়।
- সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলে নিজের বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত গণেশকে মুক্তোর মালা পরান। পাশাপাশি প্রতি সোমবার গণপতি স্তোত্র পাঠ করলে লাভ হবে। এর ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা মজবুত হবে।