হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, চলতি বছরের শেষ পূর্ণিমা পালিত হবে ২৬ ডিসেম্বর। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, মার্গশীর্ষ পূর্ণিমার বিরাট অবদান রয়েছে। হিন্দুধর্মে পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মী-নারায়ণ পুজো করার চল রয়েছে। এই তিথিতে সিদ্ধিদায়ক দিনও বলা হয়ে থাকে। মনে করা হয়, এই পূর্ণিমার (Purnima 2023) রাতে চাঁদের আলোর নিচে থাকলে আরোগ্যলাভ হয়। শুধু তাই নয়, লক্ষ্মী ও সত্যনারায়ণ পুজোর পাশাপাশি শনিদেবেরও অপার আশীর্বাদ পাওয়া যায় (Spirirutlaity) । সংসারে ভরে ওঠে ধন-সম্পত্তি ও সুখ-সমৃদ্ধি। পূর্ণিমার দিন পায়েস নিবেদন করারও রীতি রয়েছে। সেই নৈবেদ্য দিয়ে বেশ কিছু প্রতিকার মেনে চললে , আরও সুফল পাওয়া যায়।
মার্গশীর্ষ পূর্ণিমা——- মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ সকাল ০৫:৪৭ – ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ সকাল ০৬:০৩
মার্গশীর্ষ পূর্ণিমার তাৎপর্য
শাস্ত্রে পূর্ণিমার দিনে দান করা অত্যন্ত ফলদায়ক বলা হয়েছে। এই দিনে গঙ্গা (Ganga) নদীতে ধ্যান ও স্নান করাও লাভকারী বলে মনে করা হয়। মার্গশীর্ষ পূর্ণিমার (Maa Laxmi) এই শুভ উপলক্ষ্যে, তাদের আশীর্বাদ পেতে শ্রী হরি বিষ্ণু এবং ভগবান শিবের পূজা করা উচিত।
মার্গশীর্ষ পূর্ণিমার উপবাসের পদ্ধতি
মার্গশীর্ষ পূর্ণিমার দিনে ব্রহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে উপবাস করা উচিত।
স্নান এর জলে তুলসী পাতা রেখে তারপর স্নান করুন। পবিত্র নদীতে স্নান করলে ভালো হয়।
স্নানের পর সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করুন।
এর পরে সূর্য প্রণাম মন্ত্রটি জপ করুন এবং পরিষ্কার পোশাক পরিধান করুন।
এই দিন অভাবগ্রস্তকে খাদ্য ও বস্ত্র দান করা অত্যন্ত শুভ।
রাতে চাঁদকে অর্ঘ্য নিবেদন করুন ।
মার্গশীর্ষ পূর্ণিমার দিনে উপবাস রাখা হয় চন্দ্র দেবতাকে খুশি করতে এবং মানসিক শান্তি পেতে।
মার্গশীর্ষ পূর্ণিমার প্রতিকার
৩ উপায়ে পায়েস ব্যবহার করুন
মার্গশীর্ষ পূর্ণিমায়, ভগবান বিষ্ণু (Vishnu) ও দেবী লক্ষ্মীকে (Ma Laxmi) হলুদ মিষ্টি চাল নিবেদন করতে পারেন। পুজো হয়ে গেলে বাড়ির মেয়েদের মধ্যে বিলি করা উচিত। মনে করা হয়, বাড়িতে দেবী লক্ষ্মীর বাস করেন। মানসিক শান্তির জন্য জলের মধ্যে ভাত রেখে বা সুস্বাদু পায়েস রেখে পূর্ণিমার দিন চন্দ্রকে অর্ঘ্য নিবেদন করা উচিত। এছাড়াও ভগবান শিবকে এক মুঠো অক্ষত বীজ নিবেদন করা উচিত। তাতে আর্থিক সংকট দূর হয়। শিবের উপাসনা করলে প্রসন্ন হন শনিদেবও।
ব্যবসায় উন্নতি
ব্যবসায় মন্দা দেখা দিলে বা উন্নতি আটকে গেলে মার্গশীর্ষ পূর্ণিমার রাতে কর্মক্ষেত্রে দেবী লক্ষ্মীর কাছে গোমতী চক্র স্থাপন করুন। ওম শ্রী নমঃ এর ২১বার জপ করতে পারেন। পুজোর পরের দিন হলুদ কাপড়ে বেঁধে টাকার জায়গায় নিরাপদে রাখুন। মনে করা হয়, এই প্রতিকারে দারিদ্র দূর হয়, আর্থিক পরিস্থিতিরও উন্নতি ঘটবে।
শোক-দুঃখ, কষ্ট থেকে মুক্তি
বহুচেষ্টা করেও কর্মক্ষেত্রে উন্নতি হচ্ছে না, রোজকার কাজের চাপে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে, এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে মার্গশীর্ষ পূর্ণিমার দিনে তিনবার গায়ত্রী মন্ত্র জপ করতে পারেন। এছাড়াও পুজোর স্থানে ঘিয়ের একটানা প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে পারেন। মনে করা হয়, এই প্রতিকার মেনে চললে ঘুমিয়ে থাকা ভাগ্য জাগ্রত হয়।
পিপল গাছের পূজা
পূর্ণিমা তিথিতে পিপল গাছে জল নিবেদন করলে দেবী লক্ষ্মী, পূর্বপুরুষ ও শনিদেব প্রসন্ন হন। জল নিবেদনের পর ১১ বার প্রদক্ষিণ করুন।