এখন যে কোনো ফৌজদারি অপরাধের তদন্তে গোয়েন্দাদের মগজাস্ত্রের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে ফরেনসিক সায়েন্স। যৌননির্যাতনের ক্ষেত্রে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ডিএনএ পরীক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেন। কিন্তু যৌননির্যাতনের ক্ষেত্রে ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করা অত্যন্ত জটিল ও বহুস্তরীয় বিষয়। সাধারণত ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা নির্যাতিতার শরীর থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে তা বিশেষ ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠান। এরপর সেখানে অভিজ্ঞ ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান হামলাকারী অভিযুক্তর ডিএনএ আর নির্যাতিতার ডিএনএ ম্যানুয়ালি পৃথক করার কাজ করেন। এই কাজটি অত্যন্ত কঠিন ও যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ।কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের পোস্ট ডক্টরাল ফেলো মহম্মদ এলসায়েদ ও তাঁর নেতৃত্বাধীন গবেষকদল এমন একটি সহজ অথচ গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি বের করেছেন যার মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে ডিএনএ পর্যালোচনা অনেক তাড়াতাড়ি ও সহজভাবে করা সম্ভব।বর্তমানে সংগৃহীত নমুনা থেকে নির্যাতিতার ডিএনএ ম্যানুয়ালি আলাদা করা হয়। কোনো স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি নেই। বিজ্ঞানীরা নতুন এক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। ডিজিটাল মাইক্রোফ্লুইডিকসের সাহায্যে ডিএনএ পৃথকীকরণ করা সম্ভব। এই পদ্ধতিতে ডিএনএ আলাদা করতে নমুনা ল্যাবরেটটিতে নিয়ে যাওয়ার দরকার নেই বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। হাসপাতালে নির্যাতিতাকে শারীরিক পরীক্ষার সময় নিয়ে গেলে সেসময়ই করা সম্ভব বলে জানান তাঁরা। হাসপাতালের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিলে তাঁরাই করতে পারবেন। গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ‘অ্যাডভানসড্ সায়েন্স’ জার্নালে।