www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

February 15, 2025 1:07 pm

বৈরাগ্য ও মানব সেবায় ছিল ঠাকুর রামকৃষ্ণের অন্যতম ধৰ্মীয় বিধান। তিনি মনের গভীরে ঈশ্বরকে স্থাপন করে চাইতেন সমস্ত মানুষের মনের অন্ধকার দূর হয়ে যাক।

বৈরাগ্য ও মানব সেবায় ছিল ঠাকুর রামকৃষ্ণের অন্যতম ধৰ্মীয় বিধান। তিনি মনের গভীরে ঈশ্বরকে স্থাপন করে চাইতেন সমস্ত মানুষের মনের অন্ধকার দূর হয়ে যাক। প্রত্যেকে অন্য মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করুক। সেই পথ ধরেই কিন্তু দূরন্ত ছেলে নরেন হয়ে উঠেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। আর পাঁচটা সাধারণ ছেলের মতোই বড় হয়ে উঠেছিল নরেন। বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যাওয়া, বদমাইশি করা, মায়ের কাছে বকা খাওয়া, শাস্তি দিতে ঘরে আটকে রাখা এই সব কিন্তু হয়েছে বিবেকানন্দের সঙ্গেও। একটা সময় বেশ ভালই অবস্থা ছিল তাঁদের। গরীব দুঃখীদের দান-ধ্যান করা, মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ না করার শিক্ষা ছোটবেলাতে বাড়িতেই পেয়ে গিয়েছিলেন নরেন। কিন্তু সমস্যা হল অন্য জায়গায়। বাবার মৃত্যুর পরে হঠাৎ খুব খারাপ পরিণতি হয় দত্ত পরিবারের। কোনও বেলা খাবার জোটে তো কখনও আধ পেটা খেয়ে থাকতে হয়।

সেই কষ্টের দিনে তিনি পরিবারের জন্য কিছু করতে পারছেন না। পাচ্ছেন না একটা চাকরি। সেই সময় তিনি মাঝে মাঝে দেক্ষিনেশ্বরে যেতেন ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করতে। নরেনের গলায় শ্যামা সঙ্গীত শুনে মুগ্ধ ঠাকুর। কয়েক দিন অন্তর অন্তর তাঁকে ডেকে পাঠান দক্ষিণেশ্বর বা অন্য কোথাও। আসলে নিজের প্রিয় শিষ্যকে না দেখলে মন ভাল থাকে না ঠাকুরেরও। তাঁর উপর মায়ের গোপন আদেশ, নরেনকে গড়ে তুলতে হবে ঠাকুরকেই। ঠাকুরকে সকলেই খুব মান্যিগণ্যি করে, নরেনের মনেও এক বিশেষ জায়গা ছিল তাঁর। কিন্তু দারিদ্র্যের যন্ত্রণায় একদিন ঠাকুরের কাছেই ভেঙে পড়েন নরেন। কেন তাঁর এত কষ্ট?সোজা এসে ঠাকুরকেই চেপে ধরলেন নরেন! সেই মূহুর্তে ঘটীক অদ্ভুত ঘটনা। বিচলিত নরেনকে ঠাকুর এসে বললেন, “ওরে মা কখনও কাউকে খালি হাতে ফেরান না। যা তুই শুদ্ধ মনে গিয়ে মা কে নিজের মনের কথা, কষ্টের কথা বল, দেখবি মাও তোর কথা ঠিক কথা শুনবে।” নরেনকে মায়ের দরবারে পাঠালেন বটে তবে মনে মনে প্রমাদ গুনতে লাগলেন তিনিও। নরেন যেন বিপথে না যায়, সেই প্রার্থনা করতে লাগলেন নিজেও। কিছুক্ষণ পরেই মায়ের মন্দির থেকে ঠাকুরের কাছে ফিরে এলেন নরেন। ঠাকুর বললেন, “কী রে নিজের কষ্টের কথা বললি?” নরেন বললেন, “না কি আশ্চর্য! মায়ের সামনে গিয়ে আমি কিছুতেই কিছু চাইতে পারলাম না। শুধু বললাম মা তুমি আমায় বিদ্যে দাও, বুদ্ধি দাও।”সেদিনই ঠাকুর বুঝেছিলেন এই ছেলে একদিন বিশ্ব বিখ্যাত হবে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *