www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 20, 2024 11:04 am
holi

পঞ্জিকা মতে দোলযাত্রা (Doljatra) আর হোলি (Holi) উৎসবের দিনক্ষণ আলাদা। ২০২৩ দোলপূর্ণিমা ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসবের আবহ। দিকে দিকে যা কিছু ধূসর তাকে রঙে রাঙিয়ে নিতে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এরই মাঝে কেউ কেউ পঞ্জিকা মতে দোল পূর্ণিমার শুভ তিথিতেও চোখ বুলিয়ে নিচ্ছেন। কারণ বহু গৃহস্থেই দোল পূর্ণিমার দিন থাকে বিশেষ পূজার আয়োজন। দেখে নেওয়া যাক, দোল পূর্ণিমার তিথি কখন থেকে পড়ছে।

দোল পূর্ণিমা হিন্দু ধর্মের জন্যে খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এদিন রাধা-কৃষ্ণের পুজো করা হয় বিশেষত। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীনীদের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন। অন্যদিকে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বসন্ত উৎসব চালু করেছিলেন।

ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা (Purnima) তিথিটি দোল পূর্ণিমা নামে পরিচিত। এই দিন রঙের খেলায় মেতে ওঠেন সকলে। এটি আবার বসন্ত উৎসব নামেও পরিচিত। এর আগের দিন ন্যাড়া পোড়ানো হয়। অশুভ শক্তির বিনাশের প্রতীক এটি। ন্যাড়া পোড়া ও দোল, দুই-ই সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ভদ্রা মুক্ত সময়ে ন্যাড়াপোড়া হয়। তবে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ভদ্রা মুখ ও ভদ্রা পুচ্ছ ছাড়া এর মধ্যবর্তী সময়ে ন্যাড়াপোড়া করা যায়। চলতি বছর ৬ মার্চ প্রদোষ কালে ন্যাড়াপোড়া করা যাবে।

পঞ্জিকা মতে দোলযাত্রা (Doljatra) আর হোলি (Holi) উৎসবের দিনক্ষণ আলাদা। ২০২৩ দোলপূর্ণিমা ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসবের আবহ। দিকে দিকে যা কিছু ধূসর তাকে রঙে রাঙিয়ে নিতে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এরই মাঝে কেউ কেউ পঞ্জিকা মতে দোল পূর্ণিমার শুভ তিথিতেও চোখ বুলিয়ে নিচ্ছেন। কারণ বহু গৃহস্থেই দোল পূর্ণিমার দিন থাকে বিশেষ পূজার আয়োজন। দেখে নেওয়া যাক, দোল পূর্ণিমার তিথি কখন থেকে পড়ছে।

দোল পূর্ণিমার শুভক্ষণ

পূর্ণিমা তিথি শুরু- ৬ মার্চ সোমবার, সন্ধ্যা ৪টে ১৮ মিনিট থেকে পূর্ণিমা শুরু হবে।

পূর্ণিমা তিথি সমাপ্ত- ৭ মার্চ মঙ্গলবার, সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে পূর্ণিমা শেষ হবে।

ভদ্রার সময়
ভদ্রা কাল শুরু- ৬ মার্চ সোমবার, সন্ধ্যা ৪টে ৪৮ মিনিটে ভদ্রাকাল শুরু হবে।

ভদ্রা কাল সমাপ্ত- ৭ মার্চ মঙ্গলবার, সকাল ৫টা ১৪ মিনিটে ভদ্রা শেষ হবে।

হোলাষ্টক কী?

হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী হোলিকা দহনের (Holasthak) ৮ দিন আগে থেকে হোলাষ্টক শুরু হয়। এই সময়কালকে অত্যন্ত অশুভ মনে করা হয়। পঞ্জিকা অনুযায়ী ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার থেকে হোলাষ্টক শুরু হবে। ৮ মার্চ, বুধবার পর্যন্ত এটা থাকবে। হোলাষ্টকের সময় কোনও শুভ কাজ করা উচিত নয়।

দোলের মাহাত্ম্য

দোল অশুভ শক্তির পরাজয় ও শুভ শক্তির জয়ের প্রতীক। এই তিথিতে সমস্ত ধরনের বিভেদ ভুলে রঙের উৎসবে মেতে ওঠেন প্রত্যেকে। দোলের আগের দিনে হোলিকা দহন করা হয়। এই তিথিতে নিয়ম মেনে পুজো করার প্রথা প্রচলিত রয়েছে। ন্যাড়া পোড়া বা হোলিকা দহন নেতিবাচক ও অশুভ শক্তির ধ্বংসের প্রতীক।

হোলিকা দহনের পৌরাণিক কাহিনি

পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী কাজা হিরণ্যকশ্যপু নিজেকে ঈশ্বর মনে করতেন। তাঁকে ছাড়া অন্য দেব-দেবীর পুজো করলেই সেই ব্যক্তির হত্যা করতেন তিনি। তবে রাজার পুত্র প্রহ্লাদ বিষ্ণুর ভক্ত ছিলেন। ছেলের বিষ্ণু-ভক্তি দেখে তাঁকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন হিরণ্যকশ্যপু। এর জন্য নিজের বোন হোলিকার সাহায্য চান তিনি। হোলিকা ব্রহ্মার কাছ থেকে আশীর্বাদ স্বরূপ একটি চাদর পেয়েছিলেন। সেই চাদর দিয়ে গা ঢেকে আগুনে বসলে তিনি পুড়বেন না। তাই হোলিকা প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে সেই চাদর দিয়ে শরীর ঢেকে আগুনে বসেন। কিন্তু বিষ্ণুর (Lord Bishnu) আশীর্বাদে সেই চাদর উড়ে প্রহ্লাদকে ঢেকে দেয় এবং হোলিকা আগুনে পুড়ে যায়। এ ভাবে হোলিকা দহনের প্রথা শুরু হয়। একে অধর্মের ওপর ধর্মের জয়ের দিন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *