পুরাণ মতে, মা মনসা হলে শিবের মানস কন্যা ও নাগরাজ বাসুকীর বোন। সংসারে শান্তি ও সমৃদ্ধির কামনা করে আজকের দিন থেকে মা মানসা পুজোর শুরু করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস, মা মনসা যাঁর উপর সদয় হন তাঁর সব ইচ্ছা পূরণ হয়। তাই অনেকে এনাকে ইচ্ছা পূরণের দেবী বলেও উল্লেখ করেন। মা মনসার সঙ্গে পুজো করা হয় তাঁর মাথার ওপর শোভা পাওয়া অষ্টনাগেরও। অষ্টনাগকে অনেকে অষ্টপাশও বলে থাকেন। যাঁরা ভক্তি ভরে মা মানসার পুজো করেন তিনি সর্বদা সুখী থাকেন। আর অষ্টনাগের পুজো মানুষকে অষ্টপাশ নামক নানান বাধা ও বিপত্তি থেকে রক্ষা করে আশীর্বাদ দেন। অনেকের মতে মা মনসা মা শীতলার বোন।
দশহরার পর থেকে প্রথা মেনে শুরু হয়েছে মা মনসার আরাধনা, নাগপঞ্চমী পর্যন্ত বিশেষ বিশেষ তিথিতে তাঁর আরাধনা হয় । শাস্ত্র মতে মা মনসার সঙ্গে থাকা সাপকে কুণ্ডলিনী শক্তির প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই এর আরাধনা করলে জাগ্রত হয় আমাদের কুণ্ডলীনি শক্তি। মা মনসার সঙ্গে থাকা অষ্টনাগের পুজো করলে জীবন যে অষ্টপাশে জর্জরিত হয়ে রয়েছে তা থেকেও মেলে মুক্তি। গ্রামের লোকেরা আজও বিশ্বাস করেন মা মনসার পুজো করলে সাপের ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই প্রাচীনকাল থেকে আজও নানান নিয়ম-কানুন মেয়ে মা মনসার পুজোর পর একমনে তাঁর ধ্যান করলে কুণ্ডলিনী শক্তি জাগ্রত করতে সাহায্য পাওয়া যায় বলেই ধর্মীয় বিশ্বাস।