দুর্গাপুজোর নবমীর দিন ‘কুমারী পুজোর’ প্রচলন আছে অনেক দিন ধরেই। কিন্তু নিজের মেয়েকে ‘লক্ষ্মী’রূপে এবার পুজো করলেন এক দম্পতি। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের নাঘাটার বাগচী পরিবারে ধুমধাম করে আয়োজন করা হয়েছে পুজোর। তবে এবারের এই পুজো অন্য রকমের। পরিবারের একরত্তি কন্যা সন্তানকে লক্ষ্মীরূপে পুজো করা হল ওই বাড়িতে। কিন্তু কী কারণে এমন ব্যতিক্রমী পুজোর আয়োজন? শিশু নির্যাতন ও ‘ধর্ষণ’ রুখতে সমাজকে বার্তা দিতে ওই পদক্ষেপ বলে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে। সেসব দেখে আতঙ্কিত পরিবার। শিশু নির্যাতন ও ‘ধর্ষণ’ রুখতে এবার এই পদক্ষেপ করল নদিয়ার ওই পরিবার।
এটা সমাজ সচেতনতার এক অভিনব বার্তা। নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাজদিয়ার নাঘাটায় ভাজনঘাট হাই স্কুলের শিক্ষক অর্জুন বাগচী। তাঁর ছয়বছরের শিশুকন্যা গোটা বাড়ি মাথায় তুলে রাখে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্জুনবাবু মাঝেমধ্যেই উদ্বিগ্ন। শিশু নির্যাতন ও নারী ধর্ষণের মতো অসামাজিক ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেজন্য মা লক্ষ্মীর কাছে প্রার্থনা জানালেন শিক্ষক দম্পতি। এদিন একরত্তিকে লক্ষ্মীরূপে সাজানো হয়। এরপর ছয় বছরের কন্যাকে চেয়ারে বসানো হয়। নির্দিষ্ট সময় পুরোহিত ওই বাড়িতে উপস্থিত হন। ছোট্ট অরিত্রিকাকে পুজো করা হয়। শিশুর মা ঝুমা বাগচী বলেন, কন্যাসন্তানকে প্রতিটি পরিবারেই লক্ষ্মী হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও নারীকে মাতৃশক্তির আধার রূপে মানা হয়। মূলত সেই কারণেই মা লক্ষ্মীর মৃন্ময়ী মূর্তির বদলে ঘরের মেয়েকেই লক্ষ্মীরূপে আরাধনা করার সিদ্ধান্ত।