www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

December 3, 2024 5:44 pm

সমতলে বসন্তের ছোঁয়া লাগলেও হিমালয়ের কোলে এখনও অনেক জায়গায় জমে রয়েছে বরফ। এর মধ্যে একটি জায়গা হল জনপ্রিয় তীর্থস্থান কেদারনাথ। তবে আর বেশি দেরি নেই। আর কয়েক মাস পরেই গলতে শুরু বরফ। এবং তারপরেই পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে কেদারনাথ। চিন্তা নেই। তারিখও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে কেদারনাথের অফিসিয়ালের পোর্টালে। আগামী ৬ মে, ভোর ৬.২৫ এ খোলা হবে কেদারনাথের দ্বার।গত মঙ্গলবার (০১.০৩.২০২২) মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে ওমকারেশ্বর মন্দিরে অনুষ্ঠিত একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পরে ঘোষণা করা হয় যে কেদারনাথের দ্বার কবে খোলা হবে। তারপরই কেদারনাথের অফিসিয়ালের পোর্টালে উল্লেখ করা হয়ে যে আগামী ৬ মে থেকে দর্শনার্থীরা আসতে পারবেন কেদারনাথে।এই বিষয়টি উল্লেখ করে, বদ্রী-কেদার মন্দির কমিটির কর্মকর্তা হরিশ গৌড় আরও জানিয়েছেন যে বৃশ্চিক লগ্নে মন্দিরের দরজাগুলি খুলে দেওয়া হবে। দিন ঘোষণার এই অনুষ্ঠানে কেদারনাথের প্রধান পুরোহিত রাওয়াল ভীমাশঙ্কর লিং এবং বদ্রী-কেদার মন্দির সমিতির সভাপতি অজেন্দ্র অজয়ও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।শীতকালে সাদা বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে যায় কেদারনাথ। তাই শীত পরার আগেই নিচে নেমে আসতে হয় সবাইকে। সেই সময় বন্ধ হয়ে যায় কেদারনাথের দরজা। ৬ নভেম্বর ২০২১-এ বন্ধ করা হয়েছিল কেদারনাথের প্রধান দ্বার। এর পাশাপাশি বদ্রিনাথের দরজা বন্ধ করা হয়েছে ২০ নভেম্বর ২০২১।শীতকালে যখন কেদারনাথের দরজা বন্ধ হয়ে যায় তখন মহাদেব পূজিত হন উখিমাথের ওমকারেশ্বর মন্দিরে। সেই মন্দিরেই প্রতিবছর উদযাপিত হয় মহাশিবরাত্রি। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবং এই মহাশিবরাত্রির দিনই ঘোষণা করা হয় যে জলদিই পুনরায় খুলতে চলেছে কেদারনাথ।বদ্রী-কেদার মন্দির কমিটির কর্মকর্তা হরিশ গৌড় আরও জানিয়েছেন যে যে ভগবান শিবের পঞ্চমুখী (পাঁচ মুখ) মূর্তিটি একটি সুসজ্জিত পালকিতে করে রওনা হবে। কেদারনাথের জন্য ২ মে, ২০২২ ওমকারেশ্বর মন্দির থেকে ফুল দিয়ে সজ্জিত করা হবে মহাদেবের মূর্তিটি।কেদারনাথের চারপাশেই পাঁচটি মন্দির রয়েছে: তুঙ্গনাথ, রুদ্রনাথ, মধ্যমহেশ্বর এবং কল্পেশ্বর, যা পঞ্চকেদারের তীর্থস্থান গঠন করে। কেদারনাথ ও বদ্রিনাথের সঙ্গে এই মন্দিরগুলিও খুলে যাবে ওই সময়ে। কেদারনাথ মন্দিরের ভিতরের প্রথম হলটিতে পাঁচ পাণ্ডব ভাই, কৃষ্ণ, নন্দী, শিবের পথপ্রদর্শক এবং শিবের অন্যতম অভিভাবক বীরভদ্রের মূর্তি রয়েছে। নাভে দ্রৌপদী ও অন্যান্য দেবতার মূর্তিও স্থাপন করা হয়েছে। মন্দিরের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হল ত্রিভুজাকার পাথরের লিঙ্গে খোদাই করা একজন মানুষের মাথা। মন্দিরে পাঁচজন মহাযাজক রয়েছেন এবং তাঁরা এক বছরের জন্য পালাক্রমে মহাযাজক হিসেবে কাজ করেন।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *