বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। এই সময় আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে ৮ থেকে ৮০ সমস্ত হিন্দু বাঙালি। কিন্তু সেই আনন্দের ছোঁয়া পায় না এই গ্রামের পুরুষেরা। উৎসবের কয়েক মাস আগে থেকেই গ্রামের পুরুষেরা ছুটে যান দেশের নানা প্রান্তে। কেউ বেঙ্গালুরু, কেউ হরিদ্বার বা বৃন্দাবন, কেউ পঞ্জাব, কেউ হরিয়ানা আবার কেউ উত্তরাখণ্ড, বিহারে। সেখানে মাটির প্রতিমা তৈরির কাজ করেন বীজনগর গ্রামের পুরুষেরা। অনেকে আবার ভিন রাজ্যে কারখানাও গড়ে তুলেছেন। এখনকার শিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় উজ্জ্বল হয় ভিনরাজ্যের বহু দুর্গাপুজো।
বছরের পর বছর ধরে এভাবেই লড়াই করে চলেছে ওই গ্রামের শিল্পী পুরুষেরা। বীজনগরের পালপাড়ার অধিকাংশ পুরুষই পেশায় মূর্তিশিল্পী। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের হাতের ছোঁয়ায় জীবন্ত হয়ে উঠেছে দেবী দুর্গা। কিন্তু দুঃখের বিষয়, নিজেদের গ্রামের দুর্গোৎসবেই তাঁরা থাকেন না। পরিবারের কাছে ফিরতে পারেন না সবচেয়ে আনন্দের এই সময়ে। স্বামী, ছেলেকে ছেড়ে মনখারাপের পুজো কাটান মহিলারা। গ্রামবাসী মিঠু পাল বলেন, ” আমার স্বামী উত্তরাখণ্ডে মাটির প্রতিমা তৈরির কাজে গিয়েছে। দুর্গাপুজোতেও বাড়ি আসবেনা। মন খারাপ তো হয়ই, কিন্তু মন খারাপ করলে আমাদের হবে না। সারা বছর খাব কী?”