প্রশাসন কি সত্যিই আছে? এই প্রশ্ন নাগরিক মহলের। তা নাহলে প্রকাশ্য দিবালোকে এই ঘটনা কি করে ঘটে! প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা ও ‘কোস্টাল আইন’কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে অবৈধ নির্মাণ। যেখানে সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা চলার কথা, সেই জায়গায় নির্মিত হচ্ছে কংক্রিটের গার্ড ওয়াল। আর তার উপর দিয়েই বইছে জোয়ার-ভাটা। কোথাও হোটেলের দেওয়ালে আছড়ে পড়ছে সমুদ্রের জল। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে এই ঘটনা। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে চলছে এই বেআইনি নির্মাণ? বেআইনি এই নির্মাণে অভিযান চালিয়ে মন্দারমণি উপকূলীয় থানায় আটক করা হয়েছে দু’জনকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে তাজপুরে ১৯টি হোটেল থাকলেও ২০১৪ সালের ৪টি বেআইনি হোটেল ভেঙে দেয় প্রশাসন। কিন্তু তাতে তো কমেই নি বরং বেড়েই চলেছে হোটেল নির্মাণ। পরিসংখ্যন বলছে, ২০১৭ সালে হোটেলের সংখ্যা ৩১টি থাকলেও এখন হোটেলের সংখ্যা প্রায় ১৫০-র কাছাকাছি। কোস্টাল রেগুলেটিং জোনের আইনকে না মেনে বঙ্গোপসাগর উপকূলে তাজপুর পর্যটন কেন্দ্রে নির্মাণ হচ্ছে একাধিক হোটেল।স্থানীয়দের দাবি বহিরাগত কিছু ধনী ব্যক্তি স্থানীয় ঠিকাদারদের সঙ্গে সংযোগ রেখে চালাচ্ছে এই বেআইনির নির্মাণ। খবর পেয়ে সম্প্রতি এলাকায় যায় মন্দারমণি উপকূল থানার পুলিশ। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।