যখন কারো মনে পরম ঈশ্বর অধিকার করে বসে তখন সমস্ত বিশ্বকে শুধুই মায়া মনে হয়। মহাকুম্ভতে এমনই এক সাধু বাবাকে দেখে সকলেই অবাক। আইআইটি বম্বেতে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করে ছিল। কিন্তু কী যে হল! ডুব দিলেন আধ্যাত্মিকতায়। বিমানের খুঁটিনাটি প্রযুক্তি ছেড়ে চেপে বসলেন মানসবিমানে। তিনি অভয় সিং ওরফে মাসানি গোরখ। মুখে একগাল দাড়ি। কাঁধ পর্যন্ত ঝাঁকড়া চুল। লম্বা দোহারা চেহারা। যুবকের চোখেমুখে এক অদ্ভুত প্রশান্তি লেগে রয়েছে। সবসময়ই হাসছেন। যেন পৃথিবীর কোনও মলিনতা স্পর্শ করতে পারছে না তাঁকে। মাসানি এসেছেন মহাকুম্ভে। তাঁকে দেখে সকলেই অবাক। এমন ভক্ত মেলা ভার।
মাসানির তাঁবুর বাইরে ভিড় জমাচ্ছেন ভক্তরা। সকলেই একবার ‘আইআইটি বাবা’-কে চোখের দেখা দেখতে চায়। আইআইটি বম্বেতে চার বছর পড়াশোনা করেছেন। এরপর চলে যান আর্টসে। ডিজাইনে মাস্টার্স করেন। কিছুদিন ফটোগ্রাফিও করেছেন। একসময় ফিজিক্স পড়াতেন। দর্শন শাস্ত্রেও গভীর অনুরাগ ছিল। কোর্সও করেছেন। পোস্ট-মডার্নিজম, সক্রেটিস এবং প্লেটোকে চিনেছেন খুব কাছ থেকে। আইআইটি বাবার মতে, “জীবনকে গভীরভাবে বোঝার জন্য এটা জরুরি ছিল।” বরাবর নিজের শিকড়ে ফিরতে চেয়েছেন মাসানি। এও এক সাধনা। এখান থেকেই জীবনের “মৌলিক বিষয়”-গুলি তাঁর মনোযোগ টানতে শুরু করে। আগ্রহ জন্মায় আধ্যাত্মিকতায়। অভয় নিজের নাম বদলে রাখেন মাসানি গোরখ। পরমাত্মার সন্ধানে এখন তিনি মহাকুম্ভতে ধ্যানে মগ্ন।