বিশ্বের অন্যতম সেরা গুপ্তচর সংস্থা ‘CIA’। আমেরিকায় আছে এই CIA সহ ১৮টি গুপ্তচর সংস্থা। মাসের কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয় তাদের পিছনে। কিন্তু কিভাবে তারা গোপন তথ্য সংগ্রহ করে তা জানলে স্তম্ভিত হতে হয়। এদের প্রধান কাজ হল প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা এবং দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করা। কিন্তু কী ভাবে এই সব সংস্থা ভিতরের খবর জোগার করে জানেন?
- ইন্টারনেট ডেটা অ্যাক্সেস – মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ) ইন্টারনেট কোম্পানিগুলি থেকে তথ্য সংগ্রহ করার ক্ষমতা রাখে। বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ সালে ফাঁস হওয়া ফাইল থেকে জানা যায়, ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট এবং ইয়াহুর মতো বড় প্রযুক্তি কোম্পানির সার্ভারে এনএসএ-র অ্যাক্সেস ছিল। এই ক্ষমতা ব্যবহার করে, NSA চ্যাট লগ, ইমেল, ফাইল ট্রান্সফার এবং সোশ্যাল মিডিয়া ডেটা ট্র্যাক করতে পারে।
- ফোন ট্যাপিং – বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালে উইকিলিকসের ফাঁস হওয়া নথি থেকে জানা যায়, এনএসএ তিনজন ফরাসি রাষ্ট্রপতি এবং তাদের মন্ত্রীর ফোন কল রেকর্ড করেছে। একইভাবে, ২০১৩ সালে, স্নোডেনের নথিপত্র প্রকাশ করে যে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের ফোন এক দশক ধরে নজরদারিতে ছিল। এনএসএ বিশ্বজুড়ে নেতা এবং নাগরিকদের ফোন কল ট্র্যাক করত। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি মোবাইল এনক্রিপশন সিস্টেমের দুর্বলতাগুলিকে কাজে লাগিয়ে ম্যাসেজগুলি এনক্রিপ্ট করার আগে বা পরে অ্যাক্সেস করতে পারে।
- ফাইবার অপটিক তারের ট্যাপিং – ফাঁস হওয়া বেশ কিছু নথি অনুসারে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এবং ব্রিটেনের জিসিএইচকিউ সংস্থা সমুদ্রের তলদেশে ফাইবার-অপটিক কেবলের মাধ্যমে তথ্য অ্যাক্সেস করে। ২০১৩ সালে প্রকাশিত দাবি অনুসারে, GCHQ-এর ২০০টি ফাইবার-অপটিক কেবল ব্যবহারের সুযোগ ছিল, যার ফলে এটি প্রতিদিন ৬০ কোটি যোগাযোগ পর্যবেক্ষণ করতে পারত।
- টেক্সট মেসেজের মাধ্যমেও নজরদারি করা হয় – ২০১৪ সালে, জানা যায় যে NSA প্রতিদিন প্রায় ২০০ মিলিয়ন টেক্সট মেসেজ সংগ্রহ করে। এই লেখাগুলি থেকে ব্যবহারকারীদের অবস্থান, পরিচিতি এবং আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। এমন অজস্র কৌশলের মাধ্যমেই তাদের ঘরে পৌঁছে যায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের খবর।