বিশ্বকর্মা পুজোর ইতিহাস হলো দেবশিল্পী বিশ্বকর্মাকে উৎসর্গীকৃত একটি হিন্দু উৎসব, যিনি সমগ্র সৃষ্টির নকশা ও নির্মাণ কাজের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ছিলেন দেবতাদের স্থপতি ও কারিগর, যিনি দেবতাদের জন্য অস্ত্র, রথ এবং প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন। এই পূজা মূলত কারিগর, প্রকৌশলী এবং কারখানার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যারা তাদের কাজ ও যন্ত্রপাতির দেবতা বিশ্বকর্মার কাছে আরাধনা করেন। এই উৎসবটি সাধারণত ভাদ্র মাসের শেষ দিনে (কন্যা সংক্রান্তি) পালিত হয়।
বিশ্বকর্মার পৌরাণিক কাহিনী-
সৃষ্টিকর্তা ও কারিগর: বিশ্বকর্মাকে সৃষ্টির দেবতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যিনি দেবলোকে প্রাসাদ, অস্ত্র ও দেবতাদের রথ নির্মাণ করেছেন।
দ্বারকা নির্মাণ: ভগবান কৃষ্ণের রাজধানী দ্বারকা শহরটিও বিশ্বকর্মা নির্মাণ করেছিলেন।
সূর্যের শক্তি: তিনি সূর্যের কন্যা সঞ্জনার সাথে সম্পর্কিত ছিলেন। সূর্যের তেজ কমিয়ে বিশ্বকর্মা বিভিন্ন অস্ত্র তৈরি করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।
বিশ্বকর্মা পুরাণে: বিশ্বকর্মা পুরাণে উল্লেখিত একটি কাহিনী অনুসারে, তাঁর পাঁচ পুত্র কারিগর হিসেবে দেবতাদের সেবা করতেন।
পূজার তাৎপর্য –
যন্ত্র ও কর্মক্ষেত্রের পূজা: এই পূজা মূলত কারিগর, প্রকৌশলী এবং পেশাদারদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ, যারা তাদের কর্মক্ষেত্র, সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সৃজনশীলতা ও নিষ্ঠার প্রতীক: বিশ্বকর্মা পূজা সৃজনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার প্রতীক।
আদর্শ অনুসরণ: এই দিনে মানুষ বিশ্বকর্মার আদর্শ অনুসরণ করে একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করে।
