কথায় বলে,’বিশ্বাসে মিলায় কৃষ্ণ, তর্কে বহুদূর।’ তাই প্রথমে বিশ্বাস করলেই দেখা যাবে আজও মিরাকেল ঘটে। যেমন হিমাচল প্রদেশের সিমসা গ্রামের সিমসা মাতা মন্দির। মানুষের বিশ্বাস, এই মন্দিরের আছে অলৌকিক কিছু ক্ষমতা যা যুক্তি দিয়ে নিচের করা যায় না। মানুষের বিশ্বাস যে সমস্ত মহিলা শত চেষ্টা করেও সন্তানের মা হতে পারে নি, তারা এই মন্দিরের মেঝেতে শুয়ে থাকলে দেবীর কৃপায় তার গর্ভবতী হয়। এই মন্দিরটি ‘সন্তান-দাত্রী’ নামে পরিচিত, এবং এখানে সারা দেশ থেকে নিষন্তান মহিলারা আসে মেঝেতে শুয়ে সন্তান লাভের আশায়। বিশেষ করে নবরাত্রি উৎসবে, যেখানে মহিলা গুলি সারা রাত মন্দিরের মেঝেতে শুয়ে থাকে। অনেক মহিলার বিশ্বাস যে মাতা সিমসা তাদের দেহে সন্তান লাভের আশীর্বাদ প্রদান করেন। এই বিশ্বাস নিয়ে বহু মানুষ ও মহিলা এখনও নিয়মিত ওই মন্দিরে যান।
মানুষের বিশ্বাস, এখানে মা মহিলাদের বিভিন্ন স্বপ্নের মাধ্যমে জানিয়ে দেন যে তিনি পুত্র না কন্যা সন্তান জন্ম দেবেন। মানুষের বিশ্বাস, এখানে যে ফল বা বস্তু মহিলাদের স্বপ্নে দেখানো হয়, তার মাধ্যমে তারা জানেন তাদের কোল আলো করা সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও মহিলা স্বপ্নে আমরুদ দেখে, তবে বুঝতে হবে যে তার ছেলে হবে, এবং যদি ভিন্ডি দেখে, তবে এটি সংকেত যে মেয়ের জন্ম হবে। এই বিশ্বাস নিয়েই প্রতিদিন বহু মানুষ এখনও ওই মন্দিরে মায়ের পুজো দেন।