পৌষ মাস হিন্দু ধর্মের মানুষের কাছে খুবই পবিত্র। এই মাসের হয় বিভিন্ন ধৰ্মীয় অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম পৌষ সংক্রান্তি উৎসব আর গঙ্গাসাগর উৎসব। প্রতি বছরের মত নতুন বছরের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হবে গঙ্গাসাগর মেলা। ২০২৫ এর জানুয়ারির ৮ থেকে ১৭ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা। মকর সংক্রান্তি লাগছে ১৪ জানুয়ারি দুপুর ২টো ৫৮ মিনিটে। পূণ্যস্নানের সময় লাগছে সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট থেকে ১৫ জানুয়ারি সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত। গতকাল,৫ জানুয়ারি গঙ্গাসাগরের পূণ্যার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে বাবুঘাটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ৬-৮ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর সফরে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে এ বছরের ধৰ্মীয় উৎসব হবে খুবই আড়ম্বারের সঙ্গে।
নবান্ন থেকে জানানো হয়েছে, এ বছরে প্রায় আড়াই হাজার বাস, ৩২টি ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ এবং ২১টি জেটি থাকবে। ওই সময়ে রেলও অতিরিক্ত এবং বিশেষ ট্রেন চালাবে বলে জানিয়েছে। তা ছাড়া বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ১২ হাজার পুলিশ, জিপিএস ও স্যাটেলাইট নজরদারি, আশপাশের হাসপাতালগুলিতে ৫০০-র বেশি শয্যা, চিকিৎসক, নার্স, আইসিইউ, অ্যাম্বুল্যান্স, ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স, দমকলের ব্যবস্থা থাকবে। সব দিক থেকে আয়োজন ইতিমধ্যে প্রায় শেষ হওয়ার পথে।
প্রতিবারের মতো এবারেও গঙ্গাসাগর মেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে প্রশাসন। মেলা যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায়, সেই কারণে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দূর দূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীদের যাতায়াত, স্বাস্থ্য পরিষেবা, নিরাপত্তা-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। একইসঙ্গে মেলার দিনক্ষণ ও পুণ্যস্নানের সময়ও জানিয়ে দেওয়া হয়। এই বছর অন্তত ৪০ লক্ষ পূণ্যার্থী আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মেলায় বহু মানুষের ভিড়ে যাতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে না যায় তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র রাখার চেষ্টা করেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন। কুম্ভ মেলার পরে গোটা গঙ্গাসাগরেই কোনও একটি উত্সব উপললক্ষ্যে এত মানুষ জড় হন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন খুঁটিয়ে দেখেন।